সূর্যের প্রেস নোট, মমতা পিজি হাসপাতালে: সরকারের টনক নড়লো অনেক পরে
এ কেমন হল, সহানুভুতির বদলে হুমকি জুটলো ডাক্তারদের ! আদেও কি উঠবে আন্দোলন , মুখ্যমন্ত্রী খেপে গেলেন হাসপাতালে ঢুকে।
গতকাল রাতে সিপিআইএম এর রাজ্য সম্পাদকের প্রেস নোট কাজে আসলো বলে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন। যদি আজকের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী না সদর্থক ভূমিকা নিতেন তাহলে সিপিআইএম হয়তো বড় আন্দোলনে নামলে বিপদ অসন্ন্য ছিল সরকার পক্ষের , কারণ হারানো জমি ফেরানোর জন্য মরিয়া আন্দোলনে প্রস্তুত হচ্ছে সিপিআইএম । তাই তড়িঘড়ি পদক্ষেপ। তবে এনআরএস এড়িয়ে নিজের এলাকায় যেতে রাজি হলেন , কেন এন আর এস হাসপাতাল নয় ? প্রশ্নও উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন আসরে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি তুলতে হুঁশিয়ারি দেন , আজ সকালে কর্মবিরতি ঘিরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছয় এসএসকেএম-এ।হাসপাতালে আসা রোগীর পরিবারের আত্মীয়রা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে মুখ্য মন্ত্রীর সামনে। মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেন। এরপরই বেলা ১২টা ২০ নাগাদ এসএসকেএম-এ পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন এনআরএস কাণ্ডে ৫ জনকে গ্রেফতারের পরেও ধর্মঘট কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ায় জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে তোপ দাগেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন “৪ দিন ধরে রোগী পড়ে আছে। কয়েকজন মিলে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমার মন্ত্রী গিয়েছেন, পুলিস কমিশনার গিয়েছেন। যাঁরা নাটক করছে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নেব।” মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, “যাঁরা আন্দোলন করছেন, তাঁরা কেউ জুনিয়র ডাক্তার নয়। তাঁরা আউটসাইডার। বিজেপি-সিপিআইএম উসকানি দিচ্ছে। শুধু হিন্দু-মুসলাম করা হচ্ছে।” হাসপাতালে রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার জন্য ,এসএসকেএম-এ দাঁড়িয়ে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় কর্মবিরতি তুলে নিতে হবে ৪ ঘণ্টার মধ্যে । হুঁশিয়ারি দেন, “৪ ঘণ্টার মধ্যে যাঁরা কাজে যোগ দেবেন না, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব। সরকার তাঁদের আর কোনও সাহায্য করবে না।” তোপ দাগেন, “২৫ লাখ টাকা দিয়ে পড়াব, তারপর বন্ড দিয়ে পালিয়ে যাবে?” কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশের পাশাপাশি এসএসকেএম- দাঁড়িয়ে হস্টেল খালি করারও নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।