লকডাউন উঠলেই মাধ্যমিকের রেজাল্ট, তোড়জোড় শুরু পর্ষদ এর তরফে
এবছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮।
প্রেরনা দত্তঃ সাধারণভাবে মে মাসের তৃতীয় বা চতুর্থ সপ্তাহে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়ে যায়। তবে করোনার প্রকোপ ও লকডাউন সবকিছুই ওলটপালট করে দিয়েছে। করোনাভাইরাসের হামলার জেরে রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১০ জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে সব কিছু ঠিকঠাক চললে মাধ্যমিকের ফল তার আগেই বেরিয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই দুই দিনাজপুর, কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ফলপ্রকাশের জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু করে দেওয়া হয়েছে। ওইসব জেলার প্রধান পরীক্ষকদের কাছ থেকে নম্বর সংগ্রহ শুরু করল পর্ষদ। প্রায় ৬ লক্ষ নম্বর জমা পড়েছে। এতদিন প্রধান পরীক্ষকদের কাছ থেকে খাতা পর্ষদে আনায় সমস্যা হচ্ছিল। আজ দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলা থেকে নম্বর সংগ্রহ করা হবে।
স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় উদ্বোগ বাড়ছে বাংলার কয়ের কোটি পড়ুয়ার মনে৷ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হয়ে গেলেও কবে ফলাফল প্রকাশিত হবে, তা চিন্তা বাড়ছিল বাংলার ১০ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৮ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের মধ্যে৷ এবার তাদের সেই চিন্তা দূর করার জন্য এই পদক্ষেপ। মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা হয়ে যায়। মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের অপেক্ষা রয়েছেন পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা। তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতা দেখার প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। লকডাউন ওঠার পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ করবে পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।
রেড জোন ও কনটেইনমেন্ট জোনের ক্ষেত্রে সমস্যা একটা থাকছে। কারণ ওইসব জোনের খাতা দেখা হয়ে গেলেও তা পর্যদে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় ছাত্রের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩৯ হাজার ৮৭৯। পর্ষদ তরফে জানানো হয়েছে এই বছর মেয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেশি।
রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা ঠিকমতো শেষ হলেও করোনা পরিস্থিতির জেরে স্থগিত রাখতে হয় উচ্চ মাধ্যমিকের তিনটি পরীক্ষা। এই পরীক্ষাগুলো কবে হবে, বা আদৌ তা হবে কিনা, তা নিয়ে রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী থেকে অভিভাবকদের মধ্যে সংশয় রয়েছে।