রূপচর্চায় গাছগাছড়ার ব্যবহার হয়ে আসছে বহুকাল থাকে ,আজ ও যদি আমরা এই প্রকৃতির স্পর্শ নিয়ে কৃর্তিম প্রসাধনী থেকে দূরে থাকতে পারি তাহলে অনেকটাই ভাল।
আসুন দেখে নি কোন গাছের কি ব্যবহার।
ভৃঙ্গরাজের গুরুত্ব অপরিসীম -চুলের জন্য ভৃঙ্গরাজ ভালো কাজ দেয়। আমলকি ,হরিতকি ,বহেড়ার সঙ্গে ভৃঙ্গরাজ মিশিয়ে টেলি ফুটিয়ে লাগাতে হবে। এতে খুশকি ,চুলে পাক ধরা ,চুল পরে যাওয়া প্রতিরোধ হয়।
গোলাপের স্পর্শ -গোলাপের পাপড়ি ফুটিয়ে জল তৈরি করে চানের জলে ব্যবহার করলে ক্লান্তি কাটবে। মুখে ওই জল টোনের হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এছাড়া ও গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করলে ঠোঁটের কালো ভাব দূর হয়।
সবুজ এলোভেরা -এলোভেরায় থাকে ভিটামিন এ ,সি ,ই যা ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে আর বলিরেখা দূর করে।
জবার বিকল্প নেই -ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতে জবার বিকল্প নেই। এতে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে থাকায় দূষণের মোকাবিলা করে। জবাকে তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে লাগালে চুল কালো ও ঘন হয়।
ল্যাভেন্ডারের গুণ -ল্যাভেন্ডারের পাপড়ি গুলো বাটিতে নিয়ে তাতে গরম জল ঢেলে ভিজিয়ে রাখুন। জলটা ছেঁকে নিয়ে ওটমিল পাওডার মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।
সুগন্ধি জুঁই -জুঁই ফুলের নির্যাস মধুর সঙ্গে ব্যবহার করলে ময়শ্চার বজায় থাকে। নারকেল বা আমন্ড তেলে জুঁই ফুল দিয়ে ফুটিয়ে মাখুন। তাতে চুলের কন্ডিশনিং হবে। গাছগুলো কিন্তু দুষ্প্রাপ্য নয়। সহজেই নার্সারিতে পেয়ে যাবেন। ভেষজ ব্যবহার করে দেখুনই না যদি কোনো উপকার পান।