স্কুলে প্রেম-পত্র লেখা ও চুরির অপরাধে, বেঁধে রাখা হল দুটি বাচ্ছাকে বেঞ্চের সাথে !
অভিযোগ এক নয়, একাধিকবার উঠেছে স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, তাও দোষ স্বীকার করতে নারাজ প্রধান শিক্ষিকা।

@ দেবশ্রী : আবারও অভিযোগ উঠলো, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। প্রেমপত্র লেখার অপরাধে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে রেখে শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এর সাথে, তৃতীয় শ্রেণীর এক ছাত্রকে চুরির অপরাধে একই শাস্তি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে, অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার কাদিরি শহরের একটি স্কুলে।
স্কুলে বেঞ্চের সাথে হাত পা বেঁধে দুই ছাত্রকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষাবিদ অচ্যুত রাও এই ঘটনায় প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে চেয়েছেন তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আবার এই ঘটনার পিছনে যুক্তি দেখিয়েছেন। তাঁর কথায়, এত কম বয়সে প্রেমপত্র লেখা গুরুতর অপরাধ। আবার অন্য ছাত্রদের জিনিস চুরি করাও সমান অপরাধ। এরপরই নিজের পক্ষে সাফাই দিয়ে প্রধান শিক্ষিকা বলেন, ‘আমি পড়ুয়াদের বেঁধে রাখিনি। দুই ছাত্রের মায়েরা এই শাস্তি দিয়েছে তাঁদের সন্তানদের। বেঞ্চের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে রেখে শাস্তি দিয়েছে অভিভাবকরাই।’ কিন্তু ক্লাস রুমে ঢুকে অভিভাবকরা কীভাবে এই কাজ করতে পারে তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি প্রধান শিক্ষিকা।
ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়ে গেছে। তবে পড়ুয়াদের দাবি স্কুলে প্রায়ই এই ধরণের বিরল শাস্তি দেওয়া হয়ে থাকে তাদেরকে। শিক্ষাবিদ অচ্যুত রায় বলেছেন, ‘এত ছোট বয়সে একজন পড়ুয়া প্রেমপত্র লিখতে পারছে। তার মানে এটাই যে পড়ুয়ার ভাল লেখার অভ্যাস খুব অল্প বয়সেই তৈরি হয়েছে।’ আর যতই যাই হয়ে যাক না কেন, কোনো ছাত্রকে এইভাবে শাস্তি দিতে পারেন না কোনো শিক্ষক বা শিক্ষিকাই।