স্বপ্নভঙ্গ হওয়ার অবসাদে আত্মঘাতী দ্বাদশ শ্রেণীর সুমেধা !
এখন হামেশাই দেখা যাচ্ছে উচ্চাকাঙ্খা বা স্বপ্ন পূরণ না করতে পারলে, পরিস্থিতি থেকে পালতে আজকের প্রজন্ম বেছে নিচ্ছে আত্মহত্যার পথ।
@ দেবশ্রী : প্রত্যেক মানুষের জীবনে থেকে কিছু না কিছু স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্ন যখন পূরণ না হয়, বা যে স্বপ্ন পূরণে বারবার বাঁধা আসতে থাকে, তখন মানুষ অবসাদে ভুগতে থাকে। এটি বেশি করে হয়, টিনেজারদের সাথে। তেমনি মডেলিং এর স্বপ্ন পূরণ না হওয়াতে, আত্মঘাতী হয় দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রী। সে নেতাজীনগর থানা এলাকার রানীকুঠির এক ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী। তাঁর নাম সুমেধা বসু। গত শুক্রবার রাট ৮টা নাগাদ রানীদিঘীতে সুমেধার দেহ ভেসে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যে বেলা, বাড়িতে টিউশনি পড়তে যাওয়ার নাম করে, আর বাড়ি ফেরেনি সুমেধা। রাত আটটা নাগাদ, এলাকার এক স্থানীয় যুবক, রায়দিঘিতে সুমেধার দেহ ভাসতে দেখে। সুমেধাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও সে ব্যর্থ হয়। সঙ্গে সঙ্গে নেতাজীনগর থানা এলাকাতে খবর দেওয়া হয়। তারপর ডুবুরি নামিয়ে পুলিশ, সুমেধার দেহ উদ্ধার করে। তার সাথে উদ্ধার করা হয়েছে, সুমেধার স্কুল ব্যাগ, জুতো, মোবাইল ব্যাগ ও সাথে ছিল একটা সুইসাইড নোট। তার সেই নোটে সে লিখে রেখেছিল যে, তার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। তাঁর জীবনে অনেক স্বপ্ন, অনেক উচ্ছাআকাঙ্খা ছিল কিন্তু সেগুলি পূরণ না হওয়াতেই সে, আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানতে পারেন যে, বরাবরই ওই ছাত্রীর মডেলিংয়ে খুব আগ্রহী ছিল। মুম্বাইয়ে গিয়ে মডেলিং করাও ছিল তার স্বপ্ন। কিন্তু এই বিষয়ে ছাত্রীর অভিভাবকদের ছিল ঘর আপত্তি।
সুমেধার পরিবার তাঁকে বারবার বোঝাতেন যে, সবার আগে তার পড়াশোনা, তারপর অন্য কিছু। কিন্তু কথা না শুনলে প্রায়ই তার অভিভাবকরা তাকে বকাবকি করতেন। সুমেধার বাবা জানান যে, এই জন্য তাঁর মেয়ে এত বড় পদক্ষেপ নিয়ে নেবেন তিনি তা কখনো ভাবতে পারেননি। তাঁর এমন আকস্মিক মৃত্যুর কারনে, শোকস্তব্ধ হয়ে আছে গোটা পরিবার। ইতিমধ্যে পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছেন।