স্রোতের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে এখনও কিছু মানুষ : খড়্গপুরের সংস্কৃতি চর্চা
সব বয়েস মিলিয়ে এখনও অনেকেই ধরে রেখেছেন সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা , সব কিছুতেই 'হ্যা তে হ্যা বলা মানুষ এনারা নন। তাই হয়তো এরকম একটি সন্ধ্যা উপহার দিলেন।
আন্তরিকতার শেষ নেই অঝোরে বৃষ্টি তবুও দূর্গা প্রাঙ্গনে ভিড় , খড়্গপুরে এমনিতেই রাজনৈতিক ডামাডোল চলছে। রাজনীতির পালা পরিবর্তন সঙ্গে এলাকা দখল সব মিলিয়ে প্রাণ ওষ্ঠাগত। তারই মাঝে এই অনুষ্ঠান মনে করিয়ে দিল এখনো প্রাণের সঞ্চার হতে পারে সুস্থ সংস্কৃতির মাধ্যমেই।
পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রীক লেখক শিল্পী সংঘ খড়গপুর শাখার (১) আয়োজনে গত রবিবার সন্ধ্যে বেলায় পরিবেশিত হল একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা। গুণীজন সংবর্ধনা , একক সঙ্গীত -নৃত্য , সমবেত সংগীত – নৃত্য ও শ্রুতি নাটক , নৃত্য নাট্য আর কুহর পত্রিকার প্রকাশ অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের টি হয়েছে খড়্গপুর গোলবাজার দুর্গামন্দির প্রাঙ্গনে, সন্ধ্যে ৬ টা থেকে ।
পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রীক লেখক শিল্পী সংঘের খড়গপুর শাখার (১) পক্ষে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশিত করেন। এর পর সংগীত পরিবেশন করেন রতন পাল ও কস্তুরী দাসের শ্রুতি নাটক ও খুদে সদস্যদের নৃত্য প্রদর্শনের মধ্যে দিয়ে শুরু দিকটা।
এই অনুঠানে সংবর্ধিত করা হয় বাচিক শিল্পী রণবীর দত্ত কে ,সংগীত পরিবেশন করেন দুলাল টুডু ও আবৃতি পরিবেশন করেন সংঘমিত্রা দে , এছাড়া একটি অনবদ্য নৃত্য আলেখ্য পরিবেশিত করে আকাডেমশের কলাকুশলীরা।
খড়্গপুরের গুণীজনদের বিশেষ সম্মানের সাথে সংবর্ধিত করা হয় শ্রী তুষার পঞ্চানন , শ্রী বিশ্বনাথ মিশ্র , শ্রী তপন কুমার পাল ও দূর্গা চরণ ভট্টাচার্য এরা এক সময়ের দিকপাল মানুষ , নিজ গুনে সব ক্ষেত্রে সমাদৃত। বর্তমানের চরম অবস্থা চলছে বললেন প্রবীণ মানুষ শ্রী তুষার পঞ্চানন বাবু , “এর থেকে আগামী কে আমাদের বাঁচাতেই হবে। এই ধরণের যত কাজ বেশি করে করাযায় ততই ভালো। জাতি ভেদ দাঙ্গা বাজী , খুন খারাপি , লুটপাট কি আমাদের সংস্কৃতির অঙ্গ ছিল , হ্যা ছিল কিছুটা ১৯৬০- ১০৭৭ পর্যন্ত। তার পর আর এসব কে বাড়তে দেওয়া হয় নি। আবারো আমরা পথে নামছি আবারো রুখতে হবে এইসব। ”
(অনুষ্ঠানটির সরাসরি সম্প্রপ্রচাররে কথা থাকলেও করা গেলনা নেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েযায় বৃষ্টির জন্য। তার জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখিত। )