হাতে চিমটি কেটে দেখুন সত্যি কিনা : ১,২,৩,৫ টাকার পেরা,গুজিয়া , সন্দেশ, ল্যাংচা ,লেডিগিনি,রসগোল্লা ,রস বড়া , মালপোয়া আরো কত কি!
শ্যাম বাজারের মেট্রো স্টেশনের পাশেই এই দোকান "শ্রী নিত্যগোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডার"। প্রচুর বিক্রি আর তেমনিই যোগান। এলাকা ছাড়াও ছড়িয়ে পড়েছে জেলার বহু মানুষ এর কাছে , শ্যাম বাজার এলে একবার না একবার এই দোকানে আসেন সকলেই ।
খাস কলকাতার বুকে এতো কম দামে কি ভাবে সম্ভব তাই নিয়ে গবেষণা করার মত বিষয়। বছর ৬৫টির মানুষটির আবেগের সাথে এই দোকান চালাচ্ছেন সগৌরবে , তাও ঠিক থাকে না বলতে পারলেও বছর পঞ্চাশের দোকান হবেই। দোকানে প্রায় ৭-৮ জন কর্মী নিয়ে কাজ করেন এটা কম কথা নয়। যেভাবে দুধের দাম বেড়েছে , তার সাথে ছানার আকাশ ছোয়া দাম , সঙ্গে ঘি , আটা , ময়দা, সুজি , চিনি সব মিলিয়ে মূল্যবৃদ্ধির যুগে শ্রী নিত্যগোপাল রয়েগেছেন ৮০ দশকে।
কি ভাবে সম্ভব এই অসাধ্য সাধন , দোকানের মালিক বললেন আমার নিজের নামে আর কেও ডাকে না নিত্য গোপাল বলেই ডাকে আর আমি তাতেই সারা দিই। আমার দোকান লাভ করে কি লোকসান করে তা জানি না , কিন্তু দিনের শেষে ১০ টা পরিবারের চলে যাচ্ছে আজ ৫০ বছর ধরে। কম পয়সার জিনিস বিক্রি করি বলে মিষ্টির মান নিয়ে কলকাতার কেও বলতে পারবে না।সবাই আসেন নতুন পুরাতন। আমার খুব আনুন্দ হয় যখন কম পয়সার মিষ্টি হাসি মুখে খান আর খেয়ে ভালো বলেন তখন।
দোকানদারের যুক্তি কেন এতো কম পয়সার মিষ্টি বিক্রি করেন , এই দোকানের মালিক বলেন আমরা সকলেই ভালো বড় মিষ্টি খাই । যখন ভগবান কে দেওয়া হয় তখন এক টাকার নকুল দানা বা বাতাসা দেওয়া হয় , ফলে এটা ঠিক নয় বলে মনে করেন। তাই তিনি কম পয়সার মিষ্টি বানান যাতে গোপাল ঠাকুর খুশি হন।আর এই নিয়েই চলছে শ্রী নিত্য গোপাল মিষ্টান্নও ভান্ডার সগৌরবে।

বলা যায় হয়তো ধর্মের ওপর বিশ্বাসী মানুষ বলেই এই উদ্যোগ, কিন্তু বাস্তবে দেখলে হয়তো অবাক করে। এখনও কিছু মানুষ কে আমরা পাই যে, তারা স্রোতের বিরুঝে কাজ করছেন।তবে জীবনের মান নিমিত্য রেখেই বড় কাজ করা যায় তাতে শরীর ও মনের কষ্ট থাকে না। কিন্তু প্রশ্ন আগামী প্রজন্ম কি এই নীতি মানবে , উত্তর দেবে আগামী।