হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়তে এখনও অপেক্ষা দুই সপ্তাহের
নানান কারনে নামছে না শহরের পারদ মাত্রা। আবহাওয়ার মানচিত্রে দেখা যাচ্ছে, অনেক পরিবর্তন।
@ দেবশ্রী : শেষের পথে নভেম্বর, কিন্তু দেখা নেই শীতের। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন কনকনে ঠান্ডা পড়তে, ডিসেম্বরের মাঝামাঝি হয়ে যেতে পারে। অর্থাৎ এখনও আরো দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে শরবাসীকে হাড় হিমকরে দেওয়া ঠান্ডার জন্য। তবে জেলার তাপমাত্রা ধীরে ধীরে নামছে। আজ বুধবার হাওয়া অফিস থেকে জানানো হয় শীতের দেরিতে আসার কারন। তাঁরা জানান, জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার জন্য প্রয়োজন, পশ্চিমি ঝঞ্ঝা।
আজ কলকাতায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অর্থাত্ গত দুদিন তাপমাত্রার পারদ ১ ডিগ্রি বেশি থাকলেও আজ তা ১ ডিগ্রি কমে গিয়েছে। রাতের তাপমাত্রাও ফের ফিরে এসেছে ১৮ ঘরে। ভোরের কুয়াশা থেকে শীত শীত ভাব সব ঠিকঠাক থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উধাও হয়ে যাচ্ছে শীতের আমেজ, দেখা যাচ্ছে রোডের ঝিলমিল। প্রয়োজন পড়ছে না শীতের পোশাকের।
আবহাওয়া দফতর আরো জানায় যে, যদি দুটো ঝঞ্ঝার মধ্যে সময়ের ফারাক না থাকে তাহলে কাশ্মীরের দিকে তুষারপাত হলেও বাংলায় তার প্রভাব বোঝা যায় না। তাই উত্তুরে হাওয়ার পথ রুদ্ধ হওয়ায় শহরের তাপমাত্রা নামছে না। জানা যাচ্ছে উত্তরপ্রদেশের উপর জারি থাকা একটি ঘূর্ণাবর্তও এর জন্য দায়ী। ঠান্ডার বদলে বাতাসে জলীয় বাষ্প বেড়ে যাওয়াতেই আবহাওয়া গুমোট হয়ে গিয়েছে। তাপমাত্রার পারদ কমছে না। ২০১৮ সালের নভেম্বরেই কলকাতার তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছিল ১৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। কিন্তু এ বছর নভেম্বরে তার ধারে কাছে নামেনি তাপমাত্রার পারদ। অপেক্ষা এখন ডিসেম্বরের।