হুমায়নের মুখে ‘জয়শ্রীরাম’ ধ্বনি শুনে মুসলিম সমাজের তীব্র নিন্দা : মিশ্র প্রতিক্রিয়া জেলায় জেলায়
মুশিদাবাদ:তৃণমূলদল থেকে প্রায় দেড় হাজার জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ যোগ দিলেন বিজেপিতে।রবি ও সোমবার মুর্শিদাবাদের রেজিনগরে দলে দলে পদ্মফুলে যোগ দেয় , মূলত মুর্শিদাবাদের দাপুটে বিজেপি নেতা হুমায়ন কবিরের হাত ধরেই এই যোগ দান পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।এরপাশপাশি এদিন রেজিনগরে বিজেপির নতুন একটি কার্যালয়েরও শুভ উদ্বোধন হয়।
রবিবারের এই অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা হুমায়ন কবির বর্তমান রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ভাষায় ক্ষোভ উগড়ে দেন।বিজেপির বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মধ্যে ঘৃণা ছড়ানোর জন্য তৃণমূল সহ অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলকে দায়ী করেন। এরপাশাপাশি তিনি জয়শ্রীরাম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বলেন,মমতা ব্যানার্জী এখানে হিটলারি শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছেন।যে কোনো ব্যক্তি জয়শ্রীরাম বলতেই পারেন বা রামভক্ত হতেই পারেন।সেটা তাদের ব্যক্তিগত ও ধর্মীয় ব্যাপার।কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী সাংবিধানিক চেয়ারে বসে যা করছেন তাতে মনে হচ্ছে, তিনি প্রায় পাগল হয়ে গেছেন। এছাড়া হুমায়ন বাবু বিজেপি কর্মীদের উপর পুলিসি জুলুম চলছে বলে দাবি করেন।
এই প্রসঙ্গে তিনি জানান,যদি আজকের পর থেকে পুলিস ও তৃণমূলের হার্মাদ বাহিনী মিলে সাধারণ মানুষ ও বিজেপি কর্মীদের উপর বলপ্রয়োগ করে তাহলে আমরা কোনো নিয়মের তোয়াক্কা করবো না।লোকজন মিলে থানার ওসিদের ঘেরাও করবো,এরপর তার উর্ধতন কর্তৃপক্ষ আসবে এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে তবে ঘেরাও মুক্ত করবো।
এদিন তিনি জানান,মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন ব্লকে প্রতিদিন বিজেপিতে যোগদান পর্ব চলবে।তবে আমরা কোনো তৃণমূলের তোলাবাজদের দলে নেব না।সামনে বিধানসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে সঙ্গে নিয়ে আমরা মুর্শিদাবাদ জেলায় ভাল ফল করবো।
এদিকে গোড়া মুসলিমরা বলছেন হুমায়ন রাজনীতির জন্য নিজের ধর্মী কে পর্যন্ত বেঁচে দিতে আপত্তি নেই, নিজেতো কবেই বিক্রি হয়ে গেছে একবার কংগ্রেস , একবার তৃণমূল আবার বিজেপি যাই হোক এই বি-ধর্মীকে আমরা জ্যাকব এবং জানতে চাইবো কেন জয়শ্রীরামে রাজনীতি তৈরী করা হচ্ছে ? জেলা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।