এবার দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কথা ভেবে ৫০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করল আরবিআই
অন্ধকার সময়েও আশার আলো দেখতে হবে, বলেন আরবিআইয়ের গভর্নর।
প্রেরনা দত্তঃ ‘বিশ্বজুড়ে চলতি বছরে মন্দা অবশ্যম্ভাবী জানিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অর্থভান্ডার । তবু জি ২০ দেশগুলির মধ্যে ভারতের বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি।’ প্রধানমন্ত্রীর লকডাউন ২.০ ঘোষণার পর প্রথম সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন রিজার্ভ ব্যাংকের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস .। করোনা সংক্রমণের জেরে সারা দেশে অর্থনীতির বেহাল দশা। দেশের আয়ের সব রাস্তা বন্ধ। অন্ধকার সময়েও আশার আলো দেখতে হবে, বলেন আরবিআইয়ের গভর্নর। সারা বিশ্ব এখন টালামাটাল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, একথাও বলেন তিনি। তবে দেশের করোনা পরিস্থিতির যুঝতে যাঁরা সামনের সারিতে রয়েছেন তাঁদের কুর্ণিশ জানান শক্তিকান্ত দাস।
শক্তিকান্ত দাস বলেছেন, “এই মুহূর্তে ভারতের সম্ভাব্য আর্থিক বৃদ্ধির হার ১.৯ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৭.৪ শতাংশ। তবে বিশ্বের জি—২০ দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভাল দশা ভারতের, এদেশে বৃদ্ধির হার অন্যদেশগুলির তুলনায় ভালো। শক্তিকান্ত দাস বলেন, দেশের ব্যাংকগুলোতে নগদের জোগান বাড়ানো হয়েছে। জিডিপির ৩.২ শতাংশ নগদের জোগান দেওয়া হয়েছে।
রিভার্স রেপো রেট ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমানোর ঘোষণা করলেন শক্তিকান্ত দাস। ৪ বেসিস পয়েন্ট থেকে কমে হল ৩.৭৫%। তবে অপরিবর্তিত থাকছে রেপো রেট।
জি ২০ গোষ্ঠীগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ ১.৯% আর্থিক বৃদ্ধির হার ভারত ধরে রাখবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য আপাতত ₹৫০ হাজার কোটির আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করল শীর্ষ ব্যাংক। গভর্নর দাস জানান, পরিস্থিতি বিচারে টাকার পরিমাণ বাড়তে পারে। আবাসন শিল্পে ১০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন তিনি। তবে আরবিআই গভর্নর এও জানিয়েছেন, এলসিআর প্রয়োজনীয়তা যে ১০০% থেকে হ্রাস পেয়ে ৮০% এ নেমে এসেছে। যার জেরে উদ্বেগে আরবিআই।