কখনও গরম কখনও শীত, জাঁকিয়ে ঠান্ডা না পড়লেও বজায় থাকছে শীতের আমেজ।
শীত এসেও আবার যাচ্ছে ফিরে, তৈরী হচ্ছে নতুন পশ্চিমি ঝঞ্ঝা।
@ দেবশ্রী : এখন খানিক লুকোচুরি খেলছে শীত আমার সাথে। এখন যে কী কাল চলছে সত্যিই বোঝা মুশকিল। একবার ঠান্ডা, আবার গরম আবার কখনও বা বৃষ্টির আগমন। কিছুদিনের জন্য তাপমাত্রা খানিক পরিমানে বাড়লেও, আবার আগমন হয়েছে শীতের। বৃষ্টির পর, মেঘ সরে গিয়ে আকাশ পরিষ্কার হতেই আবারও শীতের আমেজ ফিরে এসেছে। আবহাওয়া দফতরের মতে, মঙ্গলবার তাপমাত্রা নেমে দাঁড়াতে পারে ১২.২ ডিগ্রি সেলিসিয়াসে। উত্তর শহরতলিতে ঠান্ডার পরিমান আরও একটি বেশি। আবহাওয়া দফতর থেকে জানা গেছে, এখন বজায় থাকবে এই ঠান্ডার দাপট। প্রায় ১২ ডিগ্রির আসে পাশেই থাকবে কলকাতার পারদের মান।
তবে এই দফায় জমাটি শীতের আয়ু ছোট। আবারও নতুন পশ্চিমি ঝঞ্ঝার ঘনীভূত হচ্ছে। ফলে, আগামীকাল বুধবার থেকে ফের রাতের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করবে। ওই পশ্চিমি ঝঞ্ঝা কাশ্মীরে ঢুকছে। তার প্রভাবেই বুধবার থেকে ফের রাতের তাপমাত্রা বাড়বে রাজ্যে। অনুমান করা হচ্ছে ওই দিন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে হাল্কা বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তবে আজ কাঁথি, কৃষ্ণনগর, শ্রীনিকেতনের পারদের মান নেমেছে ১০ ডিগ্রির নীচে। বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। তবে আগের দফার মতো ধারাবর্ষণের সম্ভাবনা বেশ কম। ঝঞ্ঝা সরে যাওয়ার পর আরও এক দফায় জাঁকিয়ে শীত ফিরতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে, কনকনে ঠান্ডা ও বৃষ্টিতে হাড়কাঁপানো পরিস্থিতি দার্জিলিং শহরে। রবিবার দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি এলাকার নানা প্রান্তে দেখা যায় বৃষ্টি। সিকিমের গ্যাংটকেও শিলাবৃষ্টি হয়েছে। উঁচু পাহাড়ি এলাকায় প্রবল তুষারপাত হয়। বিকেল থেকে তুষারপাত শুরু হয় দক্ষিণ সিকিমের রাবাংলায়। হাওয়া অফিস সূত্রে খবর, রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল যথা বাঁকুড়া, মেদিনীপুরে দেখা যেতে পারে বৃষ্টি।