Nation

করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তিকে অশালীন ভাবে স্পর্শ করার অভিযোগ উঠল চিকিৎসকের বিরুদ্ধে

যিনি রক্ষক তিনিই যেন হটাৎ করে রূপ নিল ভক্ষকের

@ দেবশ্রী : করোনা সর্বত্র নিজের প্রভাব বিস্তার করেছে। প্রতিদিনই বিশ্বজুড়ে মৃত্যু মিছিল চলছে। বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও। তবে চিকিৎসকদের লড়াইয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই। ভয়াবহ এই মহামারির সময়ে চিকিত্‍সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও কর্তব্যপরায়ণতা দেখে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা বিশ্ব। দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিয়ে নিউ ইয়র্ক থেকে কলকাতা, করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে কার্পণ্য করছেন না কেউ। রবিবারই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত করোনা যোদ্ধাদের সম্মান জানাতে ভারতের বিভিন্ন হাসপাতাল ও কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের উপরে পুষ্পবৃষ্টি করেছে বায়ুসেনা। সারা বিশ্ব যখন চিকিৎসকদের ভগবানের সাথে তুলনা করছেন তখনই করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির শ্লীলতাহানির করার অভিযোগ উঠল কর্তব্যরত চিকিত্‍সকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের রাজধানী মুম্বইয়ে।

সূত্রের খবর, কয়েকদিন আগে মধ্য মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে ভরতি হয়েছিলেন ৪৪ বছরের এক ব্যক্তি। হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিত্‍সাধীন থাকাকালীন কর্তব্যরত চিকিত্‍সক তাঁর শরীরে অশালীনভাবে স্পর্শ করে বলে ওঠে অভিযোগ। এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানোর পরেই পুলিশের দ্বারস্থ হয় তারা। তারপরই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত ওই চিকিত্‍সককে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এপ্রসঙ্গে মুম্বই পুলিশের এক আধিকারিক জানান, যেদিন শ্লীলতাহানির ঘটনাটি ঘটে তার ঠিক একদিন আগেই ৩৪ বছরের ওই চিকিত্‍সক বেসরকারি হাসপাতালটিতে যোগ দিয়েছিলেন। ৪৪ বছরের এক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি তাঁর নামে অভিযোগ দায়ের করার পরেই তদন্ত শুরু করে পুলিশ। অভিযুক্তকে ফোনও করা হয়। তবে করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসার জন্য তাঁকে এখনই গ্রেপ্তার না করে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেখানে থেকে বেরোলেই গ্রেপ্তার করা হবে তাঁকে। তবে সুরক্ষার জায়গাতেও যদি এমন ঘটনার কাউকে সম্মুখীন হতে হয় তাহলে কী করবেন মানুষ ?

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading