কোনও রকমই ভয় পাচ্ছে না অভিযুক্তেরা। কোনো ঘটনা থেকে শিক্ষা নেওয়ার বদলে, পুনরায় ঘটাচ্ছে অপরাধ।
শুধুই হচ্ছে শাস্তির প্রতিশ্রুতি। তৈরী হচ্ছে না কোনো আইন। নিরাপত্তায় ভুগছে দেশের মেয়েরা !
@ দেবশ্রী : ঘটছে একের পর এক ধর্ষণ। প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল থেকে শুরু করে এনকাউন্টার পর্যন্ত সবই হচ্ছে। আর প্রত্যুত্তরে কেবল পাওয়া যাচ্ছে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু, কিছুতেই যেন শিক্ষা নিচ্ছে না এই সমাজ। শিক্ষা নিচ্ছে না যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা কলুষিত করছে ‘রাম জন্মভূমি’র রাজ্যকে। উত্তরপ্রদেশের নির্যাতনের তালিকায় এবার নাম, মুজফ্ফরনগর এর গণধর্ষণ। তবে শুধু সেখানেই থেমে থাকেনি অভিযুক্তেরা। উন্নাও-এর মতো, নির্যাতিতাকে অ্যাসিড ছুঁড়ে পুড়িয়ে মারার পরিকল্পনাও করেছিল তাঁরা।
ঘটনাটি ঘটে মুজফ্ফরনগরের শাহপুর থানা এলাকায়। মাস পাঁচেক আগে আরিফ, শাহানওয়াজ, শরিফ এবং আবিদ নামের চার যুবকের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছিলেন বছর তিরিশের ওই নির্যাতিতা। স্থানীয় একটি আদালতে মামলাটির শুনানি চলছে। মামলা রুজু হওয়ার পর থেকেই অভিযুক্ত চারজন মহিলাকে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য ক্রমাগত চাপ দিতে থাকে।তবে তিনি তা মানতে না চাওয়ায় দেওয়া শুরু করে হুমকি। কিন্তু হাজারো হুমকির মুখেও নির্যাতিতা মামলা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়নি। শেষে মাঝরাতে ওই মহিলার বাড়িতে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুঁড়ে দেয় চার অভিযুক্ত। এসিডে নির্যাতিতার শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁকে মেরঠের একটি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। অভিযুক্ত চারজনই এই মুহূর্তে পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ কর্তৃপক্ষ।
উন্নাওয়ের ঘটনার স্মৃতি এখনও দগদগে। মৃত্যুর সাথে অনেক পাঞ্জা লড়াইয়ের পর প্রাণ হারান নির্যাতিতা। হয়ে গেছে তাঁর শেষকৃত্যও। কিন্তু অভিযুক্তরা এখনও শাস্তি পায়নি। এরই মধ্যে মুজফ্ফরনগরে একই ধাঁচে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগ আরও একবার উত্তরপ্রদেশে নারী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল। থামবে না কী এই অপরাধ ? আর কতজন হতে হবে এই নৃশংসতার শিকার ?