চালু হতে পারে বিমান যাত্রী পরিষেবা, তবে মানতে হবে সকল নিয়মাবলী
লকডাউনের জেরে বিমান সংস্থার আর্থিক হাল বেহাল, এবার তা চাঙ্গা করতেই নানান পদক্ষেপ
@ দেবশ্রী : গত ১২ মে থেকে চালু হয়েছে যাত্রী ট্রেন পরিষেবা। এবারে জল্পনা ভেসে আসছে যে চালু হতে পারে বিমান পরিষেবা ও। অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্যে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। সূত্রের খবর বিভিন্ন মেট্রো শহরের বিমানবন্দরগুলিকে তৈরি থাকতে বলেছে কেন্দ্র। তৈরি থাকতে বলা হয়েছে বিভিন্ন বিমান সংস্থাকেও।
তবে বিমান পরিষেবা কীভাবে শুরু করা যায়, সে বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে কেন্দ্র। এই বিষয়ে কথা হয়েছে রাজ্যগুলির সঙ্গেও। বিমান পরিষেবা শুরু করার ব্যাপারে সহমত জানিয়েছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। এনডিটিভি সূত্রের খবর, দুটি বড় বিমান সংস্থা বিমান পরিষেবা এখন চালু করার ব্যাপারে মত দেয়নি।
করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে যখন যাত্রীরা বিমানে চড়বেন , তখন বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে তাদের। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করবে বলে মিলছে খবর। এরই মধ্যে, বিভিন্ন বিমান সংস্থা অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রককে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে। এর মধ্যে লকডাউন পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিমানবন্দর ও বিমানের ভিতরে প্রবেশ করার কিছু নিয়মাবলী দেওয়া হয়েছে।
প্রত্যেক বিমান যাত্রীর মোবাইলে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকতে হবে। এয়ারপোর্টে পৌঁছতে হবে বিমান ছাড়ার কমপক্ষে ২ঘন্টা আগে। কোনও কেবিন ব্যাগ সঙ্গে রাখা যাবে না। আরোগ্য অ্যাপের গ্রিন স্টেটাস, ওয়েব চেক ইন ও শরীরের তাপমাত্রা মাপা। এই সবই হবে করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে বিমানযাত্রীদের অবশ্য করণীয় কাজ। প্রতিটি অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়ানের আগে শরীরের তাপমাত্রা মাপার দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থার বলে জানানো হয়েছে।
আর কেবলমাত্র যাত্রীরা নয়, নিয়ম মেনে চলতে হবে বিমান সংস্থার কর্মীদেরও। বিমানবন্দরে ঢোকা ও বেরোনোর মুখগুলিতে যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা হয়, তার ব্যবস্থা করতে হবে। এজন্য বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে নিরাপত্তাকর্মীদের বলে জানিয়েছে মন্ত্রক।
এছাড়া জানানো হয়েছে যদি কোনও মেডিক্যাল এমার্জেন্সি থাকে, তবে ওই যাত্রীকে বিমানের এমন জায়গায় বসাতে হবে, যেখান থেকে তিনটি রো খালি রাখা যায়। অন্যান্য ক্ষেত্রে বিমানের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বিমানের মাঝের বেশ কয়েকটা আসন খালি রাখতে হবে।
প্রতিটি বিমানবন্দরে আইসোলেশন জোন রাখতে হবে বলে পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে চিকিত্সার উপযুক্ত সরঞ্জাম রাখতে হবে বলে জানানো হয়েছে।