জীবনে এতকিছুর সাক্ষী থেকেও করোনা মুক্ত নতুন পৃথিবীর আস্বাদ নেওয়া হলোনা বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ বব ওয়েটনের
১১২ বছর বয়সে ক্যান্সারই তাকে চিরবিদায় জানালো
পল্লবী : ১০০ বছর আগের মহামারীও যাকে কাবু করতে পারলোনা সেকি তবে শেষমেষ করোনার সামনেই মাথা নত করে ফেললেন ? নানা করোনা নয় অন্যতম মারণ রোগ ক্যান্সারই তাকে চিরবিদায় জানালো। ব্রিটেনের নিউহ্যাম্পশায়ার কাউন্টির অলটন শহরের বাসিন্দা ১১২ বছরের বব ওয়েটন পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক। ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে চিরবিদায় নিলেন বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ বব ওয়েটন। তার কথায়, গোটা বিশ্ব এখন কত উন্নত, সেখানে এই মারণ রোগ নিমেষে মানুষকে সংক্রামিত করছে। কোনও ওষুধ নেই কী করলে এই রোগ থেকে রেহাই পাব জানি না। পৃথিবীর এমন ঘোলাটে চেহারা তিনি আগে দেখেননি।
তার জীবনের প্রথম দেখা মহামারী ছিল ১৯১৮ সালের স্প্যানিশ ফ্লু। কিন্তু তা নিয়ে কোনোরকম স্মৃতি নেই তাই। একে সেই সময় তিনি অনেক ছোট ছিলেন তখন বব ওয়েটন ১০ বছরের কিশোর এবং তার পরিবারেও কেউ আক্রান্ত হননি। কিন্তু বর্তমানের এই ভাইরাস তাকে সত্যিই ভীত করেছিল। ওনার আগে জাপানের চিতেতসু ওয়াতানাব ছিলেন বিশ্বের প্রবীণতম মানুষ। তাঁর মৃত্যুর পর গত ফেব্রুয়ারিতেই ১১২ বছর ১ দিন পূর্ণ করে বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি হিসেবে গিনেসবুকে নাম তোলেন বব ওয়েটন।
তিনি জানান, এতদিন বাঁচার জন্য তাঁর কাছে কোনও ফর্মুলা নেই। তবে মৃত্যুর কথা তিনি ভাবতেন না। উইমন্ড মিলের মডেল তৈরি করা থেকে শুরু করে বইপড়া এসব নিয়ে মেতে থাকতেন বব ওয়েটন। তাঁর তিন সন্তান। নাতি নাতনি ১০ জন আর প্রপৌত্র প্রপৌত্রী ২৫ জন। বিশ্বের নানান ওঠা-পড়ার সাক্ষী থেকেছেন তিনি। নানান ভয়াবহ দুর্ঘটনাও ঘটেছে তার চোখের সামনে। কিন্তু তার জীবনের একটিই আক্ষেপ রয়ে গেলো আর তা হলো, করোনা মুক্ত নতুন ভোরের সাক্ষী তিনি হতে পারলেন না।