নবান্নোর এই সিদ্ধান্ত কি সুফল দেবে নাকি আরো দুর্গতি আনবে

নিয়ন্ত্রণ রেখে বিধিনিষেধ আলগা করার পক্ষে রাজ্য

পল্লবী : নবান্ন সূত্রের খবর, চতুর্থ দফার লকডাউন কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন মেনে হলেও রাজ্যগুলিকে তা প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে বাড়তি অধিকার দিতে পারে কেন্দ্র। ফলে ১৮ মে’র পর থেকে রাজ্যগুলির নিজস্ব পরিকল্পনা অনেকটা গুরুত্ব পাবে। সে কথা বিচার করে তিনটি বিষয়ে এখনই তাড়াহুড়ো করতে রাজি নয় নবান্ন। স্কুল-কলেজ-শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে যেমন এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নিতে রাজি নয় তারা। জুনের প্রথম সপ্তাহে করোনা সংক্রমণের চিত্র দেখে তবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ আরও কিছু দিন বন্ধ রাখা হতে পারে।

প্রধা‌নমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, নিয়ন্ত্রণ রেখে বিধিনিষেধ আলগা করার পক্ষে রাজ্য। সেই চিন্তাধারা বজায় রেখেই যতটা সম্ভব লকডাউন শিথিল করার পক্ষে মত জানিয়েছে রাজ্য। কিন্তু সংক্রমণ যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে, তা দেখার জন্য কিছু নিয়ন্ত্রণ রাজ্যের হাতে রাখারও অনুরোধ করা হয়েছে।

অন্যদিকে দেখলে এই মূহুর্তে নবান্ন তরফ থেকে যে অভিযোগ উঠে আসছে তাই পরিযায়ী শ্রমিকদের কেন্দ্র করে।যে রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকেরা আসছেন, সেখানে তাঁদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হচ্ছে না। রেলেও সে ভাবে পরীক্ষা করাচ্ছে না। ফলে ১০৫টি ট্রেন আসতে শুরু করলে জেলায় জেলায় শ্রমিকেরা ফিরবেন। তাঁদের পরীক্ষা করিয়ে বাড়িতে রাখা বা সরকারি নিভৃতবাসে রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।

সবমিলিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে যে বিষয়টি উঠে আসলো যে তিনি চান লকডাউন শিথিল হোক কিন্তু অবশ্যই তার সাথে থাকবে কিছু বিধি-নিষেধ। তার সাথে সাথে প্রকোপ রুখতে ফুটপাথের দোকান খোলার এখনো অনুমতি দেন নি তিনি। কিন্তু এবার প্রশ্ন উঠছে, সেখানে কড়াকড়ি ভাবে লকডাউন চলাকালীনও একাধিক জায়গার ছবি আমাদের সামনে উঠে এসেছে যেখানে আমজনতার মধ্যে কোনোরকম সামান্যতম সচেতনতা টুকু ছিলোনা,কোনোকিছুর তোয়াক্কা না করেই ভিড় জমাচ্ছেন রাস্তার মোড়ে-বাজারে বিভিন্ন জায়গায়। সেখানে যদি শিথিলতা আনা হয় তবে পরিস্থিতি আয়ত্তে রাখতে পারবেন তো তিনি ? যেখানে ‘হু’ লকডাউন তোলার সাহস প্রকাশ করতে পারছেন না।

Exit mobile version