Education Opinion

নয়া মোর জিডি বিড়লার ছাত্রীর আত্মহত্যার ঘটনায় : এ যেন এক ওয়েব সিরিজ

প্রভাব সৃষ্টি কি ওয়েবসিরিজের প্ররোচনা থেকে , গোয়েন্দারা মনে করছেন স্কুলেই রয়েছে এমন কিছু যার থেকে এই ঘটনা।

আবারো কাঠগড়ায় জিডি বিড়লার স্কুল , গুঞ্জন চলছে কি ভাবে সম্ভব এই ঘটনা। তাহলে কি স্কুলের কেউ জানতো আগে থেকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, অবসরে বেশিরভাগই ওয়েবসিরিজ দেখত কৃত্তিকা তাহলে কি আত্মহত্যার প্ররোচনা মিলেছিল ওই ওয়েবসিরিজ থেকেই।

জিডি বিড়লা কাণ্ডে মুখে প্লাস্টিক ঢাকা, হাতের শিরা কাটা, পড়ে রয়েছে সার্পনারের ব্লেড, তিনপাতার সুইসাইড নোট আর রক্তমাখা পেন, এই সবই ছিল সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বেশ সিরিজে একই ঘটনা ঘটে। অনেকেই মনে করছে ইটা ওই প্রভাবে হয়েছে।

কিন্তু বিস্তর গুঞ্জন যে কি ভাবে
১) ফিল্মি কায়দায় শিরা কেটে নিজেকে শেষ করবে কেন ?
২) প্লাস্টিকে নিজের শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর পথ বাছল নাবালিকা ?
৩) এমন পদ্ধতির ভাবনা এল কী করে তাঁর মাথায় ?
৪) করা ছিল সহপাঠী ?
৫) বাড়িতে কি কোন ঘটনা ঘটে ছিল ?

শিশু মন নিয়ে কাজ করা এটি সেচ সেবী সংস্থার কর্মী রাজনারায়ণ রায় চৌধুরী বলেন “পরিবারের লাগাম হীন জীবনযাপন শিশুমনে প্রভাব ফেলছে, সব সময় যেভাবে বিকৃত ছবি দেখে তাতে খুব ছোট বেলায় কার্টুন আর একটু বড় হলে ওয়েব সিরিজ এ সিরিয়াল কিলিং দেখা টা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তার ফলে শিশুদের স্বাভাবিক আচরণের পরিবর্তন হচ্ছে দ্রুত। আপনি আগের শিশুদের দেখবেন যে তাদের মধ্যে যে সরলতা ছিল এখন আর নেই। তার ফলে শিশু মনে বিক্রিত প্রভাব মানসিক রজার সৃষ্টি করছে। বর্তমানে মা বাবার সাথে শিশুদের সম্পর্কেও এসেছে পরিবর্ত , মা বাবা চান শুধু সফলতা এই সেই ডিমান্ড কে পূরণ করে শিশুর একমাত্র কাজ। এর বাইরে কোন কিছু নেই , তার ফলে শিশুরা বাবামায়ের নিদান পালনের বাধ্যতা কে মেনে নিতে গিয়ে মোবাইলের নেশায় মত্ত হচ্ছে”।

তবে এই ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা আড়াল করা চেষ্টা করছে পুলিশ , কৃতকার পরিবারে করা আছেন ? মা কোথায় ? আর করা আছে কৃতিকার পরিবারে ?
তারা কি এমন পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন যে এই ছোট মেয়েটি এই সিদ্ধান্ত নীল। তবে এই স্কুল পরিচনার দিকেও আঙ্গুল উঠছে তাদের ভিমিকা নিয়ে।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading