ফিরে এল ভয়াবহ নির্ভয়াকান্ডের ছায়া নাগপুরে, নির্মমভাবে ধর্ষণের পর শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় লোহার রড !
ক্রমশ বেড়ে চলেছে অপরাধ। নিজের ঘরের মধ্যেও সুরক্ষিত নয় কোনো মহিলা। আর কতটা নিম্নে যাবে সমাজ ?
@ দেবশ্রী : এখনও শাস্তি পায়নি নির্ভয়ার দোষীরা। এখনও কেউ ভুলতে পারেনি ২০১২ সালে ১৬ ডিসেম্বর রাতের ঘটনা। আর আবারও ঘটল সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। নির্ভয়াকান্ডের ছায়া এবারে নাগপুরে। ১৯ বছরের মহিলা চিত্কার করায় তাঁর মুখ বেঁধে দিয়ে ধর্ষণ করল অভিযুক্ত। তারপর গোপনাঙ্গে ঢোকায় লোহার রড। যেন নৃশংসতার কোনও শেষ নেই। এই নৃশংস ঘটনার অভিযোগে যোগীলাল রাহাংদালে (৫২) কে গ্রেফতার করেন পুলিশ।
এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ জানুয়ারি। অভিযুক্ত ৫২ বছরের যোগীলাল রাহাংদালেকে ইতিমধ্যে পুলিশ গোন্দিয়া জেলা থেকে গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত ব্যাক্তি একটি স্পিনিং মিলের সুপারভাইজার হিসেবে কাজ করতেন এবং ওই নির্যাতিতা ওই ব্যক্তির অধীনে কর্মরত ছিলেন।
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা তরুণী এবং তার ভাই পারদি এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন ।পারদি পুলিশ ষ্টেশনের ইনস্পেকটর সুনীল ছাভান জানিয়েছেন ঘটনার দিন ওই তরুণীর ভাই এবং তার এক বন্ধু কাজে বেরিয়েছিলেন।
আর একা থাকার সুযোগ নিয়ে রাহাংদালে ওই মহিলাকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাঁধা দেওয়াতে ওই মহিলার মুখে কাপড় চেপে ধরে আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পরে অভিযুক্ত ব্যক্তি তাঁকে নির্মম ভাবে অত্যাচার করে, ধর্ষণ করে এবং তার শরীরে লোহার রড ঢুকিয়ে দেয়। এমনটাই অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা।
যতই মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে মানুষ কথা বলুক, আন্দোলন করুক না কেন, কিছুই পাল্টানোর নয়। একের পর এক ঘটে যাচ্ছে এমন নৃশংস অপরাধ। তবু কোনো কঠোর শাস্তি তৈরী হচ্ছে না অপরাধীদের জন্য। আর এই কারনে দিন দিন বেড়ে চলেছে অপরাধীদের অপরাধের প্রবণতা। এখনও নির্ভয়ার দোষীরা শাস্তি পায়নি, আর অপরদিকে ঘটে গেল সেই একই দৃশ্য। যা নৃশংসতার চরম।