বেলেঘাটা আইডির কাজে প্রশংসায় পঞ্চমুখ কেন্দীয় প্রতিনিধির দল
দ্বিতীয় দফায় কাজ দেখতে এসে, বেলেঘাটাকে বাহবা দিচ্ছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির দুই সদস্য
@ দেবশ্রী : করোনা মোকাবিলা করতে গিয়ে, বারবার সঘাত দেখা দিয়েছি রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্যে। আর তার মূল কারন আক্রান্ত ও মৃতের পরিসংখ্যান নিয়ে। তবে এবারে ঘটল একটু অন্য রকম ঘটনা। বুধবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের পিঠ চাপড়ে দিল কেন্দ্রীয় দল। তথ্যের গেরোয় স্বাস্থ্যসচিব বিবেক কুমারের বদলির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একই মাপকাঠিতে কেন্দ্রীয় দলের কাছে রাজ্যের অন্যতম কোভিড হাসপাতালের বাহবা পাওয়া তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে এই মুহূর্তে।
এ দিন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন জানাচ্ছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১১৭ (কলকাতার ৮৫, উত্তর ২৪ পরগনার ১৩, হাওড়ার সাত, হুগলির সাত, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দু’জন এবং পূর্ব মেদিনীপুর, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুরের এক জন)। করোনা-আক্রান্ত আরও ন’জনের মৃত্যু হওয়ায় রাজ্যে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৫ জন। কো-মর্বিডিটিতে ৭২ জনের মৃত্যু ধরে মোট মৃত ২০৭। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ৯০ জন করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। সুস্থতার হার ২৮.১৬% থেকে হয়েছে ৩০.৬৬%। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে জানান, করোনা জনগোষ্ঠীতে কী ভাবে নিজের চরিত্র বদলাচ্ছে, তা জানতে একটি সমীক্ষা (‘সেন্টিনেল সার্ভে’) করা হবে।
প্রথম দফায় করোনা নিয়ন্ত্রণের হাল দেখতে রাজ্যে আসা অপূর্ব চন্দ্রের নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় দল আইডির দোরগোড়ায় পৌঁছেও ভিতরে যায়নি। তবে দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় দলের যে-দুই সদস্যাকে রাজ্যের ‘করোনা-পারফরম্যান্স’ মূল্যায়নের ভার দেওয়া হয়, তাঁরা এ দিন আইডিতে যান। পরিদর্শনের পরে আইডি-কর্তৃপক্ষকে একটি নোট দেন দুই চিকিত্সক অপরাজিতা দাশগুপ্ত ও লীনা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাস্থ্য দফতরের খবর, সেই নোটে লেখা হয়েছে, বেলেঘাটা আইডি এক কথায় ‘দারুণ’। কর্তৃপক্ষ চাওয়া মাত্রই তাঁরা সব তথ্য দেন। সবই আইডি-কর্তৃপক্ষের নখদর্পণে ছিল। রোগীদের যত্নআত্তি, পরিকাঠামো, সর্বোপরি ব্যবস্থাপনা দেখে তাঁরা ‘অভিভূত’, লিখেছেন দুই সদস্যা। এই প্রেক্ষিতে এমআর বাঙুর হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রথম কেন্দ্রীয় দলের পত্রাঘাত প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যদিও বাঙুরের পরিষেবার মান উন্নত হয়েছে বলে দ্বিতীয় কেন্দ্রীয় দলের অভিমত।