ভারতে করোনায় ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু সবচেয়ে বেশি,আবার সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন অনেকেই !

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৭৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি

প্রেরনা দত্তঃ একমাসের লকডাউনে কিছুটা লাভ হলেও কোভিড-১৯-এ সংক্রমণের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে ভারতে। ভারতে করোনা আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়াল ২৪ হাজার ৫৩০ জন। ইতোমধ্যে ৫ হাজার ৪৯৮ জন রোগীকে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে যাওয়ায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ১৭৫২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৷ যা এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি । বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও ৷ ভারতে করোনায় এখনও পর্যন্ত মৃত ৭৮০ জন ৷ শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টাতেই মৃত ৩৭ জন । পাশাপাশি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪,৭৪৮ জন ৷ তবে তার মধ্যেও আশার খবর, করোনায় আক্রান্ত দ্বিগুণ হওয়ার হার কমেছে ।

আগে যা ৭.৫ দিনে হচ্ছিল । এখন তা হচ্ছে ১০ দিনে । এছাড়াও দেশের ৮০টি জেলায় নতুন করে সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি গত ১৪ দিনে।আক্রান্তের সংখ্যায় এই রেকর্ড বৃদ্ধি স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, এক মাসের লকডাউন কি তবে কাজ দিচ্ছে না?

শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত গত চব্বিশ ঘণ্টায় দেশে ১৬৮৪ জন নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তবু গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হয়নি বলে দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের। স্বাস্থ্য মন্ত্রক কিন্তু বলছে, অন্যান্য দেশের থেকে ভারতের অবস্থা অনেকটাই ভালো। দেশে করোনার সুস্থতার হার ২০.৫৭ শতাংশ। করোনা মোকাবিলায় এবার ভারতে অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ফ্যাভিপিরাভি ব্যবহারের ভাবনা শুরু হয়েছে।

ইতিমধ্যেই এই ড্রাগ ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে কাউন্সিল অফ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ বা CSIR। ঠিক সময়ে লকডাউন শুরু না করলে এখন দেশে ২৩,০০০-র পরিবর্তে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লক্ষ ছাড়িয়ে যেত! কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন নিজেও দাবি করেছেন, ঠিক সময়ে লকডাউনের জন্যই ভারতে করোনা সংক্রমণ তৃতীয় ধাপে পৌঁছতে পারেনি। তবে, এই সাফল্যে উচ্ছ্বসিত হওয়ার সময় যে আসেনি, সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

Exit mobile version