মাইনে পাচ্ছেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা, কাঠগোড়ায় দাঁড়িয়েও চুপ বিজেপি রাজ্য সরকার…
মাসের পর কেটে যাচ্ছে মাস, তাও দেখা নেই বেতনের, ভোগান্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকারা !
@ দেবশ্রী : কাঠগোড়ায় এবার কর্ণাটক রাজ্যের বিজেপি সরকার। কর্নাটকের স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা দু’মাস ধরে কোনো বেতন পাচ্ছেন না। সরকারের কাছে বহুবার অনুরোধ করার পরেও মিলছে না কোনো ফল। সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, কর্নাটক প্রাইমারি স্কুল টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে বলা হয়েছে, ২০৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত বেতন পাচ্ছেন না। এই বিষয়ে, আইন পরিষদের সদস্য, অরুণ শাহাপুর বলেন, সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখার পর যা বোঝা যাচ্ছে, সম্প্রতি অর্থ তহবিল পরিবর্তন হওয়ার কারণেই এমন বিপত্তি ঘটছে। কর্নাটকের বিজেপি সরকার সদ্য নতুন অর্থ তহবিল চালু করেছে। তার মাধ্যমেই সমস্ত লেনদেন হচ্ছে। আর শুধুমাত্র টেকনিক্যাল কারনে জন্যেই ঘটছে যাবতীয় সমস্যা। তবে খুব শীঘ্রহি নাকি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এছাড়াও জানা গেছে, সর্বশিক্ষা অভিযান ও রাষ্ট্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা অভিযানের মাধ্যমে যাদের নিয়োগ করা হয়েছে, তারা ছাড়াও বেতন সমস্যায় ভুগছেন, কয়েকমাস আগে সরাসরি শিক্ষা দপ্তরের মাধ্যমে যাদের নিয়োগ করা হয়েছে তারাও।
এদিকে বেতন না পাওয়ায় সংসার চালানোই দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পক্ষে। সরকারি আধিকারিকরা অবশ্য গোটা প্রক্রিয়ার জন্য দোষ দিচ্ছেন টেকনিক্যাল বিষয়কেই। এই মুহূর্তে চলছে কার দোষ কার দোষ নয় এই বিষয়ে।
সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, আগামী শনিবারই গোটা বিষয়টি নিয়ে ভিডিও কনফারেন্স করবেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের প্রধান সচিব এস আর উমাশঙ্কর। যে সমস্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দু’মাসের বেতন বাকি রয়েছে, তাদের একটি তালিকা তৈরি করা হবে। একটি রিপোর্টে আবার জানা গেছে, সর্বশিক্ষা অভিযানের মাধ্যমে নিয়োগ করা অন্তত ৪০ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার তিন মাসের বেতন বাকি রয়েছে। আরও জানা গেছে, গত দু-তিন বছর ধরেই চিত্রটা মোটামুটি এক। সর্বশিক্ষা অভিযান আবার কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ বিভাগের আওতায়। তাই কেন্দ্রের বিজেপি সরকারও দায় এড়াতে পারে না। হুবলির এক প্রাথমিক শিক্ষক বলেছেন, ‘তিন-চার মাসে আমরা একবার বেতন পাই।’
সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে কর্নাটকে তৈরী হয়েছে, এক জটিল সমস্যা। ভুগছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। চুপ রয়েছে বিজেপি রাজ্য সরকার।