@ দেবশ্রী : বিপদ আর খুব দূরে নেই। তা এসে গিয়েছে অন্দরমহলে। করোনার তান্ডব শুরু হয়ে গিয়েছে ভারতেও। করোনার সংক্রমণ রোখার চেষ্টায় দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চললেও মৃত্যুমিছিল কোনওভাবে থামানো যাচ্ছে না। একদিকে যখন ঘরবন্দি মানুষ ক্রমশ মানসিক অবসাদে বিধ্বস্ত, অর্থনৈতিক ভবিষ্যতের কথা ভেবে শিউরে উঠছে। তখন ঘ্ণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ভারতে করোনার বলি হয়েছে ১৯৯ জন। তার মধ্যে গত ১২ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৫৪৭ জন। এর ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৬ হাজারের গণ্ডি।
শুক্রবার সকাল নটায় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৪১২ জন হলেও ইতিমধ্যে ৫০৪ জন সুস্থ হয়েছে। আর চিকিত্সাধীন রয়েছে ৫ হাজার ৭০৯ জন। এর মধ্যে গত ১২ ঘণ্টায় ৫৪৭ জন আক্রান্ত হয়েছে আর মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের।
দেশের মধ্যে করোনা আক্রান্ত রোগী সবথেকে বেশি রয়েছে মহারাষ্ট্রে (১,৩৬৪)। তারপরই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে নাম রয়েছে তামিলনাড়ু (৮৩৪) আর তৃতীয় স্থানে দিল্লি (৭২০)। এরপরই রয়েছে তেলেঙ্গানা (৪৪২), উত্তরপ্রদেশ (৪১০), কেরল (৩৫৭), অন্ধ্রপ্রদেশ (৩৪৮), মধ্যপ্রদেশ (২৫৯), গুজরাট (২৪১), কর্ণাটক (১৮১) হরিয়ানা (১৬৯) জম্মু ও কাশ্মীর (১৫৮), পশ্চিমবঙ্গ (১১৬) ও পাঞ্জাব (১০১)।
দেশের অন্য রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বপ্রথম লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো ওড়িশায় এখনও পর্যন্ত ৪৪ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া গিয়েছে। বিহারে ৩৯ জন, উত্তরাখণ্ড (৩৫), অসম (২৯), চণ্ডীগড় ও হিমাচল প্রদেশ (১৮), লাদাখ (১৫), ঝাড়খণ্ড (১৩), আন্দামান ও নিকোবর (১১), ছত্তিশগড় (১০), গোয়া (৭), পুদুচেরি (৫) ও মণিপুর (২)। আর ত্রিপুরা, মিজোরাম ও অরুণাচল প্রদেশে একজন করে এই মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।