প্রেরনা দত্তঃ গত ২৪ ঘন্টায় যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে,তারমধ্যে ৫ জনই কলকাতার৷ আক্রান্তের দিক থেকেও শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে তিলোত্তমা শহর কলকাতা৷ শহরে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে ৬১ জন৷ ছাড়া পেয়েছে ২৩ জন৷ সোমবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনে প্রকাশ৷
রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের শেষ বুলেটিন অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২,৮২৫। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৭২। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ১৪৮ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন মোট ১,০০৬ জন। এদের মধ্যে ১,১৭৫ জনের শরীরে ভাইরাস সক্রিয় রয়েছে। কোমর্বিডিটির কারণে মৃত্যু হয়েছে ৭২ জনের। আজ প্রায় ৭,৬১৪ জনের করোনার পরীক্ষা করা হয়।
এদিকে, রাজ্যের ২৩টি ল্যাবে আরও ৭,৬১৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। যার ফলে এখনও পর্যন্ত ৯৩,৫৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হল। আর প্রত্যেক ১০ লক্ষ জনসংখ্য়া প্রতি পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১,০৪০। এখনও পর্যন্ত যে সংখ্যক পরীক্ষা করা হয়েছে তার মধ্যে ৩.০২ শতাংশ ক্ষেত্রে রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
রাজ্যের এখনও পর্যন্ত করোনায় সুস্থ হয়েছেন ১০০৬ জন। রাজ্যে করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে কলকাতা (৭০৬), এরপর রয়েছে হাওড়া(৩৮৩) , উত্তর ২৪ পরগনা (২০৬), হুগলি (১০০)।
কনটেনমেন্ট জোনকে এবার বুথ-ভিত্তিতে ৩টি ভাগে ভাগ করা হবে। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মাস্ক পরা মাস্ট, মানতে হবে সোশ্যাল ডিসটেন্সিংও। কার্ফু জারি না হলেও সন্ধে সাতটার পর বাইরে বেরোলেই পুলিসি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সরকারি ও বেসরকারি অফিসে আপাতত ৩১তারিখ পর্যন্ত ৫০% কর্মী নিয়ে কাজ চলবে। সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেনে খুলতে পারে হোটেলও। ২১ মে থেকে খুলবে দোকানপাট। জোড়-বিজোড় তত্ত কার্যকর করে ২৭ তারিখ থেকে হকার্স মার্কেটও খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যসরকার। পাশাপাশি,এবার সেলুন, বিউটি পার্লারের দরজাও খোলা হবে। জানালেন মমতা।