Culture

লড়াইয়ের আরেক নাম সন্তোষপুর লেক পল্লী সার্বজনীন দূর্গা পূজা কমিটি

ফেব্রুয়ারী থেকে শুরু করে ফেলেছে প্যান্ডেলের কাজ।কলকাতার সেরা পুজোর অন্যতম আকর্ষণ শেষের ১৫ বছর তাদের উপস্থাপনা। নজর কেড়েছে বারংবার । ৫০ দিন বাকি থাকতেই এক ডাকে ২০/২২ ছেলে পুলে বেরিয়ে হাজির পূজামণ্ডপে। ওপিনিয়ন টাইমস এর খোলা মনে প্রাক পুজোর আড্ডা বেশ জমে উঠেছিল।

বর্তমানে প্রগতির ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে উন্নয়নের রঙিন চশমা পড়েছে মানুষ। কিন্তু লাগামছাড়া উন্নয়ন আঁধার নামিয়ে আনছে, তা জেনেও বুঝতে চাইছে না মানুষ। তাই ভূমন্ডলীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর একটা গালভরা নাম আছে, বিশ্ব ঊষ্ণায়ন বা গ্লোবাল ওয়ার্মিং। আর এই নিয়েই এবারের সন্তোষপুর লেক পল্লী সার্বজনীন ক্লাবের থিম। তাই নিয়ে এবারের পুজোর ডালি সাঁজিয়ে হাজির কলকাতা , বিধান নগর ও দমদম পুরসভা অঞ্চল কে নিয়ে ” যুব কল্যাণ শারদ সম্মান ২০১৯” এর অন্যতম দাবিদার।
একবার দেখে নেওয়া যাক কেন এই উদ্যোগ :

বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই উষ্ণায়নের ফলে পরিসংখ্যান অনুযায়ি, গত ২০০০০ বছরের তুলনায় শেষ শতকে বিশ্বের উষ্ণতা সবথেকে বেশী বৃদ্ধি পেয়েছে।

গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে বিষুবীয় ও মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা দ্রুত বাড়ছে। বিজ্ঞানীদের অনুমান, আরও ১০০বছরের মধ্যে সুমেরু-কুমেরুতে গরমকালে সমস্ত বরফ জলে পরিণত হবে। ১৯৭০এর পর উত্তর মহাসাগরের বরফের স্তর প্রায় ২৭% হ্রাস পেয়েছে।

এই ক্রমবর্ধমান উষ্ণতার ফলে বিষুবীয় ও মেরু অঞ্চলের জমে থাকা বরফ গলে গিয়ে সমুদ্রের জলস্তর ৩০–৪০সেন্টিমিটার বেড়ে যাবে। এরফলে পৃথিবীর উপকূলবর্তী এলাকার একটি বিরাট অংশ সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাবার সম্ভাবনা আছে।

জলস্তর বাড়লে মশা বাড়বে। ম্যালেরিয়া, গোদ, কলেরা ডেঙ্গু প্রভৃতি রোগের প্রকোপ বাড়ছে। আরো ভিন্ন রোগ ফিরে আসবে, নতুন রোগ হবে।

এছাড়াও জীববৈচিত্র্যের বিনাশ ঘটবে, ফসলের ক্ষতি, প্রাকৃতিকভাবে বনাঞ্চল ধ্বংস হবে, বন্যজন্তুও কমে যাবে, পানীয় জলে সংক্রমণ দেখা দেবে, মানুষের বাসস্থান সংকট দেখা দেবে, খাদ্যভাব প্রবলভাবে বৃদ্ধি হবে, কোথাও ক্ষরা, আবার কোথাও বন্যার প্রকোপ দেখা দেবে, দুর্ভিক্ষ, মহামারী, খাদ্যদাঙ্গা শুরু হবে। পৃথিবীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যা একসাথে বৃদ্ধি পাবে। সভ্যতা ধ্বংসের মুখে অগ্রসর হচ্ছে।

নিয়ন্ত্রণ:
মানব সভ্যতা ধ্বংসের মুখে প্রায়। এই নিয়ে পরিবেশবিদ্‌ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্র সবদিক থেকে চাপ বাড়ছে সমস্যার সমাধানের জন্য। ট্রাইবুনাল, গ্রিণ বেঞ্চ ইত্যাদি গঠন হয়েছে। কিছু আশু সমাধানও নির্দিষ্ট করা হয়েছে। যেমন::

⦁ কলকারখানায় জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার হ্রাস করতে হবে।
⦁ কৃষিক্ষেত্রে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমাতে হবে।
⦁ মিথেন গ্যাস নির্গমনের উৎসগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।
⦁ জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার কমিয়ে অপ্রচলিত শক্তির প্রচলন করতে হবে।
⦁ গাছ-ই আমাদের টিকে থাকার অন্যতম উপায়। অরণ্য গড়ে তোলার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়িত করতে হবে। শক্তিসাশ্রয়ী আবাসন গড়ে তুলতে হবে।

কিভাবে সম্ভব পুজোর মধ্যে দিয়ে জনমত তৈরি করা। এর ফলে অনেক বড় চ্যালেঞ্জ সন্তোষপুর লেক পল্লীর কাছে , লক্ষ্য জনতার ভিড়ে এমন কি থাকবে তাতেই দর্শনাথীদের চেতনা বৃদ্ধি হবে যাতে আগামীতে পৃথিবীকে রক্ষা করা যাবে।এখন সেটাই দেখার মূল বিষয় । তবে এই ক্লাব বিগত দু বছরের খরা কাটিয়ে পারবে কি সফল হতে , এখন সময়ের অপেক্ষা।

Show More

OpinionTimes

Bangla news online portal.

Related Articles

Back to top button

Discover more from Opinion Times - Bengali News

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading