১৪ অগাস্টের মধ্যে ইউজিসিকে সুনিশ্চিত জবাব দিতে হবে বলে নির্দেশ সুপ্রিমকোর্টের
কলেজের ফাইনাল বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে এই মুহূর্তে বিতর্কের শেষ নেই, ১৪ অগাস্টের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে জবাব চেয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।
পল্লবী কুন্ডু : করোনা অতিমারীর জন্য ব্যাহত হয়েছে স্বাভাবিক জীবন। যার ভয়াল কোপ পড়েছে শিক্ষাক্ষেত্রেও। বর্তমান পরিস্থিতিতে রীতিমত ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত হয়ে উঠছে অনিশ্চিত। কলেজের ফাইনাল বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত নিয়ে এই মুহূর্তে বিতর্কের শেষ নেই। ১৪ অগাস্টের মধ্যে ইউজিসিকে এ বিষয় নিয়ে সুনিশ্চিত জবাব দিতে হবে বলে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের।বর্তমান অবস্থায় কিভাবে ও কবে নেওয়া হবে কলেজের চুড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা এবং এই বিতর্কের জেরেই সমস্যায় পড়েছে ছাত্র-ছাত্রীরাও।
এই মুহূর্তে তাদের একাংশের দাবি পরীক্ষা বাতিল হোক। অবশ্য এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তরফ থেকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা আদালতে বলেন, ‘পরীক্ষা যবেই হোক না কেন পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতি চালিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ নিয়ম বলছে চুড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা না হলে পড়ুয়ারা তাদের ডিগ্রিও পাবে না।’ অন্যদিকে ইউজিসি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারও। ইউজিসি-র জারি করা এই গাইডলাইনে পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকেও আবারও সেই নির্দেশিকা পুনর্বিবেচনার আর্জি রাখেন তিনি।
জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই ইউজিসি-র তরফে গাইডলাইন জারি করে চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া অবশ্যই হবে বলে জানানো হয়েছিল। অনলাইন-অফলাইন এবং অনলাইন ও অফলাইন এই তিনটি মাধ্যমের মধ্যে যে কোনও একটি মাধ্যমের সাহায্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চূড়ান্ত বর্ষের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা নিতে পারে। ইউজিসি-র সিদ্ধান্ত মানতে নারাজ অধিকাংশ পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকেরা।তাদের মতে এতে পড়ুয়াদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে কোনও গুরুত্বই দিচ্ছে না ইউজিসি। তাই আদালতের দ্বারস্থ বিক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা।রাজ্য সরকারগুলি ছাড়াও ইউজিসি নির্দেশিকার বিরোধিতা করে ৩১ জন পড়ুয়া সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করে। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ অগাস্টের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে জবাব চেয়েছে।