ভক্তিতেই মুক্তির সন্ধানে এবার আহিরীতলা
ভ্যাকসিন নেই, ওষুধ নেই, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভগবানই একমাত্র পারবেন করোনা থেকে জনগণকে উদ্ধার করতে তেমনটাই আশা নিয়ে পুজোয় সামিল আহিরীতলা যুবক বৃন্দ পূজো কমিটি
নম্রতা ঘোষ: আহিরীতলা যুবকবৃন্দের থিম এবার ভক্তিতেই মুক্তি। সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ এবার তাদের। জানুয়ারি মাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সূচনা হয় পূজোর। সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ হিসাবে স্বাভাবিকভাবেই অনেক পরিকল্পনা করে রেখেছিলেন কতৃপক্ষ কিন্তু পরবর্তীকালে মার্চের পর আসা সমস্যার কারণে পাল্টে যায় পরিকল্পনা। ট্যাগলাইন হয় পঞ্চাশে পূজো, একান্নতে উৎসব – এমনটাই আশা নিয়ে পূজোয় মাতলো আহিরীতলা।
ভক্তিতেই মুক্তি। ভ্যাকসিন নেই, ওষুধ নেই অথচ বিজ্ঞানকেও অস্বীকার করা যায় না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ভগবানই পারবে করোনা থেকে উদ্ধার করতে তেমনটাই মনে করছেন আহিরীতলা যুবক বৃন্দ পূজা কমিটি। কমিটির সদস্য পুষ্পেন্দু বসু জানান তাদের এবারের থিম ভক্তিতেই মুক্তি, তিনি জানান যে ভ্যাকসিন নেই, ওষুধ নেই, এই মুহূর্তে মানুষ মনে করছে ঈশ্বরকে ডাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। সেক্ষেত্রে তিনি জানান মণ্ডপে ঢুকে মানুষের ভক্তি যাতে আরও বেড়ে যায় সেরকমই হবে মণ্ডপ সজ্জা।
মানুষকে পূজোই সবচেয়ে বড় পূজো এমনটাই মনে করেন আহিরীতলা পূজা কমিটি সদস্য পুষ্পেন্দু বসু। আর তাই এবারে মানুষের পাশে থাকাই সবচেয়ে জরুরি আর সেই কারণেই আমফান, লকডাউনের পর অনেক সাধারণ মানুষের পাশে থেকেছেন তারা। এবছর তাদের পুজো মণ্ডপের গেটে থাকবে দূর্গার হাত যার নীচে হাত রাখলে পরবে স্যানিটাইজার। কোনো ব্যক্তি মাস্ক পরে না এলে সেক্ষেত্রে থাকবে ফ্রী মাস্কের ব্যবস্থাও। সামনে দিয়ে মণ্ডপের বাইরে থেকেই ঠাকুর দর্শনের জন্য হবে ফ্রন্ট ওপেন প্যান্ডেল। বানানো হবে অ্যাপ যার মাধ্যমে জানা যাবে পুস্পাঞ্জলীর সময় এবং ঘরে বসেই দেওয়া যাবে অঞ্জলি। মাইকে শোনা যাবে মন্ত্র এবং পুষ্পাঞ্জলি শেষে পূজো কতৃপক্ষ ঘরে ঘরে গিয়ে ফুল সংগ্রহ করে মায়ের পায়ে দিয়ে দেবে। এবং থাকবে ভলেন্টিয়ার্স ও জরুরি পরিষেবার জন্য অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও।
সবরকম ব্যবস্থা নিয়েই প্রস্তুত আহিরীতলা যুবকবৃন্দ। ভক্তিতেই মুক্তির সন্ধানে এবার তারা। এবং একইসাথে তাদের বানানো থিমের মাধ্যমে জনগণের ভক্তি বৃদ্ধির আশা রাখছেন তারা।