দয়ায় নয় কর্মেই আসুক অন্নের সংস্থান, মায়ের কাছে কাতর আর্তি… বকুলবাগান সার্বজনীন
আশায় বাঁচছে বকুলবাগান সার্বজনীন। মহামারীর ভয়কে পরাজয় করে মায়ের আগমনে মেতেছে বকুলবাগান

অঙ্কনা চক্রবর্তী : হাতে গোনা আর কদিন বাকি দুর্গাপুজোর। জোরকদমে শুরু হয়ে গাছে মা কে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি। এই প্রস্তুতি থেকে পিছিয়ে নেই বকুলবাগান সার্বজনীন ও। এবছর ৯৩- তম দুর্গাপুজোয় তাদের বিশেষ আকর্ষণ হল একটি বন্ধ হয়ে যাওয়া রং কারখানার, বিধ্বস্ত , রোজগারবিহীন শ্রমিকদের মায়ের উদ্দেশ্যে তাদের শান্তিময়, সুরক্ষিত জীবনের আবেদন। বর্তমান অসুরক্ষিত পরিবেশে কর্মহারা সকল মানুষের হয়ে একটি রূপক হিসাবে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি রং কারখানার শ্রমিকদের মায়ের কাছে করা আর্জিই এবছরের বকুলবাগানের পুজোর বিষেশত্ব।
অন্যান্য সকল সমিতিগুলির মতোই সামাজিক কর্মসূচি গ্রহণের দিক থেকেও পিছিয়ে নেই বকুলবাগান সার্বজনীন। বকুলবাগান লেডিস ফোরাম এর পক্ষ থেকে ৭০ জন ভদ্রমহিলার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এবছরে বেহালা ও তার তৎসংলগ্ন এলাকায় দুটি বৃদ্ধাশ্রমের মানুষদের প্রয়োজনীয় সকল সাহায্য প্রদান করা হয়েছে।
প্রতি বছরের মতো এবছরে কিন্তু পুজোয় প্রাপ্য সম্মান নিয়ে তারা রয়েছে যথেষ্ট ধোঁয়াশায়। তবে, এই পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজো তারা সম্পন্ন করতে পারছে ,এটাই তাদের কাছে বড়ো পাওনা। কিন্তু, মনে আশা কোথাও যেন রয়েই যাই। সেই আশাতেই মাঠে নেমেছে তারা, প্রাপ্য সম্মান এর প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দী হিসাবে তারা রেখেছে অবসর সার্বজনীন, চক্রবেড়িয়া, ঐক্যতান ইত্যাদি পুজো কমিটিকে।
সাম্প্রতিক মাস্ক, স্যানিটাইজারের “নিউ নরম্যাল লাইফ”-এও বাঙালি সকল দ্বিধা কাটিয়ে পুজোর উৎসবে মেতে উঠবে, প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ভিড় করবে বলে মনে করছেন , বকুলবাগান সার্বজনীন ক্লাবের সদস্য বিমল সামন্তবাবু।