আঁধার কাটিয়ে আলোর খোঁজে কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দ
হেঁটে নয় নেটে ঠাকুর দেখুন এমনটাই অনুরোধ কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দের

মধুরিমা সেনগুপ্ত : বছর ঘুরে আবার এলেন মা। সাথে নিয়ে এলেন একরাশ খুশির মেজাজ। ছয়মাস ঘরে বন্দি বাঙালি যেন মুক্তির স্বাদ পাবে। কলকাতার মানচিত্রের বড়ো বড়ো পুজো উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। ঠিক সেরকমই অন্যতম বিখ্যাত পুজো কমিটি কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন পশ্চিম অধিবাসীবৃন্দ ক্লাবের সম্পাদক রঞ্জিত চক্রবর্তী মহাশয়ের সাথে আমরা কথা বলেছি। ১৮ বছরের এই পুজোর এবছরের থিম ‘আধার থেকে আলোর সন্ধানে’।
দীর্ঘ কয়েকমাস আমরা যে অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি তাতে অন্যতম মূল ভুক্তভোগী হয়েছেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। তাদের সেই অন্ধকারাচ্ছন্ন সময়ের অবসান হবে কবে? কবে পাবে তারা আলোর সন্ধান? সেই প্রার্থনা নিয়েই তারা গেছে মায়ের কাছে। মূল ভাবনার নেপথ্যে আছেন কুট্টি এবং প্রতিমাশিল্পী নবকুমার পাল। এই ক্লাব এ কলকাতার প্রথম ক্লাব যারা মণ্ডপে অক্সিজেন ব্যবস্থা রাখছেন এমনটাই দাবি করছেন রঞ্জিতবাবু। তিনি আরো বলেন হোম আইসোলেশনে থাকা কোভিড রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তারা।
দর্শনার্থীদের সুরক্ষার জন্য মণ্ডপে থাকবে মাস্ক,স্যানিটাইজার। এছাড়াও থাকছে আপৎকালীন অবস্থার জন্য অক্সিজেন এবং বেড এর যোগান। ক্লাব কতৃপক্ষরা চাইছেন এবছর হেঁটে নয় নেটে দেখুন দূর্গা। যত কম সংখ্যক মানুষ রাস্তায় বেরোবেন ততই ভালো, এবং এরপরেও যারা আসবেন তাদের এক এক করে ঢোকানো হবে মণ্ডপে এমনটাই বলেন তিনি। মণ্ডপ হবে একদম খোলামেলা। এই পরিস্থিতি বাজেটেও কিন্তু বেশ প্রভাব ফেলছে। প্রায় ২৩ লাখের পুজো এবারে সম্পন্ন হচ্ছে আনুমানিক ৫ লাখে। ১৯ তারিখ স্থানীয় বিধায়কের উপস্থিতিতে সর্বসাধারণের জন্য খোলা হবে এই মন্ডপ। এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে ওনাদের একটাই অনুরোধ, যতটা সম্ভব কম সংখ্যক মানুষ যেন রাস্তায় নামেন। আমাদের প্রত্যেককে আরও সচেতন হতে হবে এবং পূজোয় যাতে আরও গোষ্ঠী সংক্রমণ না হয় সেদিকে নজর দিতে হবে। তাই হেঁটে নয় নেটে ঠাকুর দেখুন।