আদি শক্তির আরাধনায় এবার মিতালি কাঁকুড়গাছি
ধনে প্রাণে পরিপূর্ণতার জন্য দশমহাবিদ্যার অবতারে পূজিতা মায়ের আরাধনা, কালিমা ঘোচানোর প্রার্থনায় রত মিতালি কাঁকুড়গাছি

মধুরিমা সেনগুপ্ত: পুজোর বাদ্যি বেজে গেছে এবং বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো একদমই দোরগোড়ায়। দীর্ঘ ছয় মাসের করোনার দাবদাহের পর অবশেষে খুশির দমকা হাওয়ার মতো দুর্গাপুজো আসন্ন। ইতিমধ্যেই কলকাতার পুজো উদ্যোক্তাদের প্রস্তুতি তুঙ্গে। মিতালি কাঁকুড়গাছি এর এক কর্মকর্তা শ্রী নীলকমল পালের সাথে কথা বলে আমরা জানতে পেরেছি ৮৪ বছরের এই পুজোয় এবছরের থিম ‘প্রথম আদি তব শক্তি’। ধরিত্রীর স্রষ্টা, ধ্বংসকারী এবং পর্যবেক্ষণ হলেন আদি শক্তি। শাক্ত পুরান অনুযায়ী সেই আদি শক্তির প্রধান তিন রূপের মধ্যে প্রত্যক্ষ এবং সম্পূর্ণ অবতার দেবী পার্বতী। তিনিই অবতীর্ণ হয়ে সকল ব্যর্থতা, অসম্পূর্ণতা, কালিমা ঘোচাবেন এই প্রার্থনাই রয়েছে এবার মায়ের কাছে। এই থিমের মূল ভাবনায় রয়েছেন সিদ্ধার্থ বিশ্বাস এবং প্রতিমা শিল্পী হলেন সনাতন পাল।
এই করোনা পরিস্থিতিতে দর্শনার্থীদের জন্য কি সুরক্ষাবিধি গ্রহণ করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসা করা হলে আমাদের তিনি জানান যে প্রত্যেকদিন কর্পোরেশন এর গাড়ি সকাল, দুপুর এবং বিকেলে এসে পুরো অঞ্চল স্যানিটাইজ করে যাবে। এছাড়াও প্রবেশপথে থাকবে সানিটাইসিং টানেল। তবে নীলকমল বাবুর কথায় বাইরে থেকে বা গাড়ি থেকেই এবছর প্রতিমাদর্শন করা যাবে। পুরো প্যান্ডেলটাই খোলা থাকবে চারদিক। এরপরেও যদি কোনো দর্শনার্থী আসেন তার জন্যেও ক্লাব যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছে। সর্বোচ্চ ২০ জন করে দর্শনার্থী ঢুকতে দেওয়া হবে। ২০ তারিখ নাগাদ সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়া হবে প্যান্ডেল।
অন্যবারের তুলনায় এ বছরের বাজেট অনেকটাই কাটছাট হয়েছে। প্রায় এক তৃতীয়াংশ বাজেটে সম্পন্ন হচ্ছে এবছরের পুজো। ডাক্তার, নার্স ও সাফাইকর্মীই উদ্বোধন করছেন এই বছরের পুজোর। ক্লাব কতৃপক্ষ আশাবাদী, এখন এটাই দেখার যে এতো সুরক্ষার জন্য যে ব্যবস্থা তার কতটা কি কার্যকরী হবে। তারা এটাই জানাতে চায় সকল সুরক্ষা ব্যবস্থার সাথে কম বাজেটেই মা কে আগমন জানাতে তারা সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুতি নিচ্ছে।