উমার আগমনে “মরুতে রঙের ছটা” পাথুরিয়াঘাট পাঁচের পল্লীতে
পাথুরিয়াঘাট পাঁচের পল্লীর দুর্গোৎসবের মণ্ডপ সজ্জা থেকে শুরু করে খুঁটিনাটি বিভিন্ন তথ্য সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা

শর্মিষ্ঠা বিশ্বাস : দীর্ঘ ছয় মাস যাবৎ করোনা মহামারীতে আক্রান্ত গোটা বাংলা তথা সমগ্র বিশ্ব। ঠিক এই সময়েই প্রায় ঘাড়ের উপর এসে পড়েছে বাঙালির শ্রেষ্ঠ পুজো দুর্গাপুজো। আম্ফান পরবর্তী বিপর্যয় এবং করোনা কালের অর্থনৈতিক মন্দা, কর্ম সংস্থান হীনতা, অনাহারের মতো সমস্ত দুঃখের অবসান ঘটিয়ে বাঙালির পাঁচ হয়ে যাওয়া মুখে হাসি ফুটিয়ে ঘরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মা। এখন ধীরে ধীরে “নিউ নরম্যাল ” জীবন যাপনেও অভ্যস্ত হয়ে উঠছে মানুষ। আর ঠিক এমনি একটি চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরতে চলেছে উত্তর কলকাতার সেরা পুজো গুলোর মধ্যে একটি পাথুরিয়াঘাট পাঁচের পল্লী। হ্যাঁ, পাথুরিয়াঘাট পাঁচের পল্লীর এবারের ভাবনা ” মরুতে রঙের ছটা “।রুক্ষ্ম শুষ্ক মরুভূমির মতো হাঁপিয়ে ওঠা মানুষের জীবন ও মন রাঙিয়ে দিয়েছে এই দুর্গাপুজো। শিল্পী শ্রী সন্দীপ মূখার্জীর হাত ধরে রূপায়ণ ঘটেছে এবারের ভাবনার। এরকমই অসাধারণ ভাবনার সাথে এই ৮১তম বর্ষে এসেও উত্তর কলকাতার অন্যান্য সেরা পুজোগুলোকে সমানতালে টেক্কা দিয়ে চলেছে।
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরের অগ্রিম প্রস্তুতি এবং বাজেট সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তরে পাথুরিয়াঘাট পাঁচের পল্লীর সদস্য শ্রী মৃনাল সাহার সঙ্গে সাক্ষাৎকারে জানতে পেরেছি, এবছরের অগ্রিম প্রস্তুতির দিনসংখ্যা অনেকটাই পিছিয়ে এসেছে, বাজেটও অনেকটা কমিয়ে এনেছেন, আনুমানিক সাড়ে চার থেকে পাঁচ লক্ষ। কারণ? কারণ, আম্ফানে বিপর্যস্ত মানুষদের ত্রাণ প্রদান এবং করোনা কালে দৈনিক প্রায় পাঁচশো থেকে হাজার জন মানুষকে ট্রেন প্রদানের মতো সহৃদয়ে সহযোগিতা করে গেছেন। আমরা তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
এবার চোখ রাখব মাননীয়া মূখ্যমন্ত্রীর নির্দেশিত গাইডলাইন মেনে পাথুরিয়াঘাট পাঁচের পল্লীর সুরক্ষা ব্যবস্থার প্রতি। সোশ্যাল ডিস্টেনসিং-এর কথা মাথায় রেখে দূর থেকেও যাতে দর্শনার্থীরা প্রতিমা এবং মণ্ডপ সজ্জা দেখতে পান দেখতে পান জন্য তিনটি খোলা গেটের ব্যবস্থা থাকবে, থাকবে খোলা ছাদও। মাস্ক ছাড়া এবং একবারে ১০ জনের বেশি মণ্ডপে প্রবেশ নিষেধ থাকবে, ব্যবস্থা থাকবে স্যানিটিজশন এর, এমন কথাই জানা গেছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে। তবে পরিস্থিতির এমন টালমাটাল অবস্থাতেও কিন্তু যথেষ্ট আশাবাদী পাথুরিয়াঘাট পাঁচের পল্লীর কর্তৃপক্ষ।