করোনা নিদানে থিম থেকে সাবেকি, মনটা ভার সকলের, তেলেঙ্গাবাগান
করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে, আন্দাজ করি থিমে অতিরিক্ত খরচ না করে মানুষের পাশে তেলেঙ্গাবাগান

নম্রতা ঘোষ: উল্টোডাঙা তেলেঙ্গাবাগানের পূজো এবার ৫৫বছরে পা দিল। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে জনজট এড়ানোর জন্য থিম পূজো ছেড়ে এবার তারা বেছে নিয়েছে সাবেকি পূজো। এবং প্রতি বছরের ন্যায় প্রতিমার আকারও কম এ বছর, সম্ভবত ১২ ফুট। এছাড়াও প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে রাখা হচ্ছে প্যান্ডেলের তিন মুখ খোলা যাতে কিনা প্যান্ডেলের বাইরে থেকেও প্রতিমা দর্শনের সুযোগ পান জনগণ। এছাড়া যদি কোনো দর্শনার্থী মণ্ডপে ঢুকে প্রতিমা দর্শনে ইচ্ছুক হয় সেক্ষেত্রে একসাথে সর্বাপেক্ষা ২০-২৫ জনকে মাস্ক সহ এবং থার্মাল স্ক্যান করিয়ে মণ্ডপে ঢোকানো হবে, সোশ্যাল ডিস্টেন্স মেনে। কারও মুখে যদি মাস্ক না থাকে সেক্ষেত্রে মাস্ক প্রদান করা হবে পূজাপক্ষ কমিটি থেকে। প্যান্ডেলের বাইরের জনজট এড়াতে থাকবে ভলেন্টিয়ার্স।
পুজোর মধ্যাংশের পুস্পাঞ্জলির বিষয়ে জানতে চাওয়াতে তেলেঙ্গাবাগান কমিটির সদস্য জয়দেব সাহা জানান মাইকে হবে পুষ্পাঞ্জলি যাতে জনগণ ঘরে বসেই দিতে পারে অঞ্জলি। একইসাথে তিনি জানান, উল্টোডাঙা থানার ও.সি. মিটিং এ আঞ্চলিক পূজা কমিটির সদস্যদের জানিয়েছেন সমস্ত নির্দেশনাবলী এবং সাথে মুখ্যমন্ত্রীর প্রত্যেক পূজা কমিটিকে দেওয়া ৫০,০০০/- টাকা অনুদানের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
এবারের পুজো অন্য বারের থেকে আলাদা। আমফান কোভিডে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ভীষণ ভাবে ব্যাহত হয়েছে, এবং সেটা শারীরিক ও মানসিক উভয় ভাবেই। কিন্তু তার মধ্যেও ভয়কে জয় করে মানুষ কিন্তু সুরক্ষা হাতেই নেমে পড়েছে শহরে। একইসাথে সমস্তরকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পুজো কতৃপক্ষ।শীঘ্রই হতে চলেছে মায়ের আগমন। জগৎবাসী আশা রাখছে মায়ের কাছে যে মায়ের আগমনে হয়তো বিলুপ্ত হবে এই মহামারী।