চক্রবেড়িয়ার চমক এবার -“ভাঙা-গড়ার খেলায়”
ভাঙ্গনের খেলায় মেতেছে পৃথিবী। সেই খেলারই প্রতিচ্ছবি এবার চক্রবেড়িয়ার মণ্ডপে।
অঙ্কনা চক্রবর্তী : শিল্পীর চোখে ধ্বংস থেকে সৃষ্টির বিভিন্ন ধাপ, এবারের পুজোয় ফুটিয়ে তোলার প্রচেষ্টা করেছে চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব। করোনার কোপে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ঈশ্বরসৃষ্ট এই ধরণী, এই মানবসমাজ। করোনার ধ্বংসলীলা কাটিয়ে কিভাবে আবার নতুন করে গড়ে উঠতে পারে এই সমাজ, চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব এবারে তারই উদ্ভাবনী ধারণার প্রকাশ ঘটাচ্ছে তাদের পুজোয়।
প্রয়োজনীও সকল সুরক্ষাব্যবস্থা গ্রহণের দিক থেকেও পিছিয়ে নেই চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন। মণ্ডপ চারদিক থেকেই উন্মুক্ত রাখা হয়েছে, একসাথে মণ্ডপে সর্বাধিক ১৫-জন এর বেশি প্রবেশের অনুমতি কিন্তু নেই। অঞ্জলি দেওয়ার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে। সারাদিনে মোট ৫-৬টি স্লটে সর্বাধিক ১৫ জনের বেশি উপস্থিতির অনুমতি নেই। অঞ্জলীর জন্য ফুল সকলকেই নিজের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে হবে, এবং মণ্ডপে দূর থেকে সেই ফুল সংগ্রহ করে তারা মায়ের পায়ে অর্পণ করবে, এই ব্যবস্থাই গ্রহণ করেছে তারা। এছাড়াও, মণ্ডপে ঢোকার সময় মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক।
সামাজিক দায়িত্ব পালন থেকেও সরে যায়নি চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন। সভাপতি অসীম কুমার বোসবাবুর সহযোগিতায় স্থানীয় মানুষদের শুধুমাত্র সাহায্য প্রদানই নয় , তাদের পাশে থেকে এই কঠিন পরিস্থিতিতে মানসিকভাবে লড়াই করার শক্তিরও যোগান দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। লাইভ মহালয়া শোনানো থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিনোদন প্রদানের মাধ্যমে এবারের দুর্গাপুজোকে সবদিক থেকেই মাতিয়ে তোলার চেষ্টায় কোনো অংশেই পিছিয়ে নেই চক্রবেড়িয়া সার্বজনীন দুর্গোৎসব।