জীবন রঙ্গ মঞ্চে জয়ী হওয়া কোনো যুদ্ধের থেকে কম নয়
জীবন যুদ্ধে কি জয়ী হওয়া যায় আসুন জেনে নেওয়া যাক ঠাকুরপুকুর স্টেট ব্যাংক কমিটির সার্বজনীন দুর্গোৎসব-এ

নিবেদিতা মিত্র : ঠাকুরপুকুর স্টেট ব্যাংক পার্ক কমিটির প্রেসিডেন্ট সঞ্জয় মজুমদার এর সাথে কথা বলে জানা গেল এই বছর এ তাদের থিম হলো ‘জীবন যুদ্ধবিগ্রহ’ এবং তাদের বাজেট হলো ২৫ লক্ষ টাকা।এই বছর এই কমিটি ৫০ বছর এ পা দিতে চললো মানে সুবর্ণ জয়ন্তী। তাদের এই থিম এর উদ্দেশ্য হলো আমরা প্রতিনিহত জীবন যুদ্ধ করে যাচ্ছি এবং জয়ীও হচ্ছি। ঠিক দেবী দূর্গা যেইভাবে যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। আর এখন এই মুহূর্তে সারা বিশ্ব যে ভয়ানক সংকটের মুখে পড়েছিল সেই ভয়াবহ বিপদ থেকে কিভবে আমরা জয় হতে পারলাম তারই প্রতিচ্ছবি আমরা যায় মণ্ডপ এ ঢাকতে পাবো। আমাদের যায় মানব জাতি যতবারই বিপদ এর মুখ এ পড়েছে ততবারই ফিনিক্স পাখির উৎপত্তি ঘটেছে যা আমরা দিকটা পাবো। আর যেহেতু দেবী দুর্গাও পুরো ব্রম্হান্ডকে বাঁচানোর জন্য অসুর এর সাথে যুদ্ধ করে জয়ী হন তাই দেবীর হাথে কিন্তু কোনো প্রকার অস্ত্র থাকবে না। অস্তের বদল এ থাকবে পদ্ম ফুল যা কিনা শান্তির প্রতীক।
সব থাকা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এই বছর কিন্তু তারা রোবট এর ব্যবস্থা করেছেন।যারা কিনা পুজো মণ্ডপে ঢোকার মুখে দর্শনার্থীদের হাতে স্যানিটাইজার দেবে এবং দশ পনেরোটি স্যানিটাইজ করার মেশিন ও থাকবে। সব থাকা গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি হলো অষ্টমীর দিন পুষ্পাঞ্জলি ও সন্ধিপুজোর দিন দুরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথম ব্যবস্থাটি হলো মণ্ডপের ভিতর কিন্তু কেউই অঞ্জলি দিতে পারবে না, সামনে বোরো এলইডি টিভি এর ব্যবস্থা থাকবে যেখানে মায়ের মুখ দেখা যাবে এবং ৬ ফুট দূরত্ত বজায় রেখেই ১০০ জন মতো মানুষ অঞ্জলি দিতে পারবে।এছাড়াও যারা এলাকাবাসি মণ্ডপে আসতে পারবেন না তাদের জন্য ফেসবুক লাইভ বা বোরো বোরো মাক্রোফ্ফনে এর মাধ্যমে অঞ্জলি দিতে পারবে। এই বছর তারা কিন্তু গোটা ফল দিয়ে পুজো করবেন।
এই বছর আর একটি মজার বিষয় হল দশমীর দিন সিঁদুর খেলা হবে না তার বদলে ১০-১২ জন মহিলাকে আলতা পোড়ানো হবে ও শেষ এ হালকা একটা টিপ্ সিঁদুরের পোড়ানো হবে। এছর যায় কমিটি কোনোপ্রকার স্টল কিন্তু বসতে দেবে না। সব মিলিয়ে দর্শনার্থীদের মন জয় করার চেষ্টায় ঠাকুরপুকুর স্টেট ব্যাংক কমিটির সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি করছে।