
মধুরিমা সেনগুপ্ত : উত্তরপ্রদেশে(Uttar Pradesh)র বদায়ুনের পর এবার মধ্যপ্রদেশ। একের পর এক নারী নিগ্রহের, ধর্ষণের ঘটনায় তোলপাড় হচ্ছে গোটা দেশ। প্রথম ঘটনা শোনা গেলো ৪৫ বছরের এক মহিলাকে তিনজন মিলে গণধর্ষণের খবর। ঘটনাটির ৩৬ ঘন্টার মধ্যেই ধর্ষিত হয় আরো এক কিশোরী।ঘটনা চাউর যাতে না হয় তার জন্য গলা টিপে সেই কিশোরীকে খুন করে অভিযুক্ত এবং সেই কাজে তাকে সাহায্য করে তারই স্ত্রী।
প্রথম ঘটনাটি ঘটেছে ভোপাল থেকে ৮০০ কিলোমিটার দূরে মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলায়। জায়গাটি আমিলিয়া থানার অন্তর্গত। সেখানে চায়ের দোকান চালাতেন সেই ৪৫ বছরের মহিলা। চার বছর আগেই তার স্বামী মারা যান এবং তখন থেকেই তিনি এক থাকতেন। গত শনিবার রাতে নিজের কুড়েঘরে শুয়েছিলেন। তখনই তিন কিলোমিটার দূরের এক গ্রামের তিনজন তার দরজায় ধাক্কা দেয়। মহিলা এক থাকতেন, তাই ভয় পেয়ে দরজা না খোলায় তারা দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে আসেন এবং গণধর্ষণ করেন।তারপরেই যৌনাঙ্গে রড ঢুকিয়ে অত্যাচার চালায়। ঘটনার পর তাকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং পরে রেওয়ার সঞ্জয় গান্ধী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানের চিকিৎসকরা জানান যে তিনি আপাতত স্থিতিশীল অবস্থায় আছে। অভিযুক্ত তিন ব্যক্তিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটেছে খাণ্ডওয়া জেলার রামানিয়া গ্রামে। সোমবার সকালে নিকটস্থ দোকানে কিছু জিনিস কিনতে গেছিলো নবম শ্রেণীর সেই কিশোরী। তখনই তাকে ঘরে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে ওই দোকানের মালিক। প্রমান লোপাটের জন্য গলা টিপে খুনও করে। পরে ছাদে গিয়ে যখন সে ও তার স্ত্রী বস্তায় দেহ পুড়ছিল তখন তা দেখে তাদের এক প্রতিবেশী চেঁচামিচি করে। তখনই কিশোরীর পরিবার ছুটে আসে। কিন্তু ততক্ষণে ফেরার দু’জন।
এই ঘটনার পর সবার মনে একটাই প্রশ্ন যে সকাল হোক বা রাত, ৪৫ বছরের প্রৌঢ়ই হন বা নবম শ্রেণীর কিশোরী এই অত্যাচার থেকে মহিলারা কবে মুক্তি পাবেন? কবে সুরক্ষিত ভাবে তারা রাস্তায় চলাফেরা করতে পারবেন? সরকারের কাছে সত্যিই এই প্রশ্নের জবাব চায় গোটা দেশবাসী তথা গোটা মহিলাসমাজ।