সামান্য একটি “ঝাঁটার মহিমা” কতখানি বোঝা যায় ধনতেরাসে
"ঝাঁটার" মহামায়াতে এই ধানতেরাসে সকল গৃহস্থের মানুষ জড়িয়ে পরে এবং ঝাঁটাকেই রক্ষা কবজ মনে করেন।

তিয়াসা মিত্র : ” ঝাঁটার আমি ঝাঁটার তুমি ঝাঁটা দিয়ে যায় চেনা ” এই কথা একদম সত্যি হয়ে ওঠে বছরের এক দিন ধানতেরাসে । যেখানে সমস্ত মানুষ ধানতেরাসে সোনা রুপো কেনার পাশাপাশি কদর বেড়ে যায় এই দিনে ঝাঁটার, সোনার দোকানের মালিকদের পাশাপাশি টেক্কা দেয় মুদি মালিকরাও। এইদিনে ঝাঁটা কেনেনা এরকম মানুষ বোধহয় খুবই কম। কেন এই ঝাঁটা কেনার রেওয়াজ আছে এই বাংলাতে তথা গোটা ভারতবর্ষে ?
এই “কেনোর” উত্তর খুজতে হলে একটু পিছনের দিকে ঘুরে তাকাতে হবে- অতীতে ঘরের মা ঠাকুমারা ঝাঁটাকে লক্ষীঠাকুরের প্রতিমূর্তি মনে করতেন এবং সেই “ঝাঁটা ” ওনারা পুজো করে ঘর ঝাড় দিতেন যাতে ঘরের অশুভ শক্তি এবং ঘরের অলক্ষি দূর হয়ে। বহুল প্রচলিত এই রীতি সম্পর্কে গণিতের শিক্ষক তথা পুজোপার্বণ নিয়ে নিয়ত চর্চা করেন দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের অনিন্দ্য ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ধনতেরসকে কেন্দ্র করে ঝাঁটা কেনার উৎসাহ দেখে অনেকে একটু অবাকই হয়েছেন। তবে এটা নতুন কিছু নয়। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় কালীপুজো বা দীপাবলিতে অলক্ষ্মী পুজোর চল আছে। সেখানেই কুলোর বাতাস ও ঝাঁটা দিয়ে অলক্ষ্মীকে দূর করে ও ঘরে লক্ষ্মীর জন্য স্থায়ী আসন পাতা হয়। সেই উপলক্ষেই ঝাঁটা কেনার চল ছিল।
অন্যদিকে যদি অর্থনীতির দিকে যদি চোখ রাখি তাহলে দেখা যাবে সোনার দোকারের পাশাপাশি রাখাই যায় “ঝাঁটা”, এক সমীক্ষাতে উঠে এসেছে সারা বছরে যদি ১০-১২ টা ঝাঁটা বিক্ক্রি হয়ে তাহলে এই দিন তার তিন গুন্ ঝাঁটা বিক্ক্রি হয়। তাই বোঝাই যায় “ঝাঁটার” মহামায়াতে এই ধানতেরাসে সকল গৃহস্থের মানুষ জড়িয়ে পরে এবং ঝাঁটাকেই রক্ষা কবজ মনে করেন।
তাই বলা যেতেই পারে ” বিশ্বাসে মিলায়ে বস্তু তর্কে বহুদূর “