ট্রেন দুর্ঘটনাতে উৎকণ্ঠা বাড়াচ্ছে মৃত এবং নিখোঁজের পরিবারের মধ্যে, মিলছেনা মর্গে তাদের হদিশ, “ভয়ঙ্কর চিত্র সর্বত্র”
'পা' না কাটার আবেদন এক যুবকের। উদ্ধার কার্যে এরকম অভিজ্ঞতা করলেন পুলিশ কর্মীরা

তিয়াসা মিত্র : শুক্রবার ময়নাগুড়ির অদূরে লাইনচ্যুত হয় বিকানের-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ১২ টি বগি লাইনচ্যুত হয় এবং তার সাথে আহত মৃতের সংখ্যা বেড়ে চলেছে যত যুদ্ধকালীন উদ্ধার কার্য চালানো হচ্ছে। তার ভেতর উৎকণ্ঠাতে দিন কাটাচ্ছে নিখোঁজ যাত্রীদের পরিবার। জানা যাচ্ছে, বহু পরিবার মর্গে গিয়েও পাচ্ছে না স্বজনের দেহ বা তাদের কোনো খোঁজ, তেমনি এক ঘটনা দেখা গেছিলো জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৬ জন আহতের মধ্যেও রঞ্জিতের খোঁজ পাননি প্রদীপ।
দাদার খোঁজে মর্গে যান এবং সেখানে তার খোঁজ না পাওয়াতে এর পর থানায় যেতে বলা হয় জলপাইগুড়ি হাসপাতালে। ভোরের ঘন কুয়াশাতেও উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, বিএসএফ, সশস্ত্র সীমা বল-এর জওয়ানরা। দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া এবং লাইনের পাশে উল্টে থাকা ট্রেনের কামরাগুলি ক্রেনের সাহায্যে এক এক করে সরানোর কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, কামরার ভিতরে আর কেউ আটকে আছে কি না, তা ভাল করেও খতিয়ে দেখছেন উদ্ধারকারীরা। বৃহস্পতিবার রাতেই হাওড়া থেকে বিশেষ ট্রেনে দোমোহনীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তাঁর সঙ্গে আছেন রেলের উচ্চপদস্থ কর্তারা।
পা না কাটার আবেদন এক যুবকের। উদ্ধার কার্যে এরকম অভিজ্ঞতা করলেন পুলিশ কর্মীরা। সেই যুবক জল দেওয়ার কথা বলেন এবং যখন তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয় তথক সে অচৈতন্য হয়ে পড়েছে, নিয়ে যাওয়া হয় জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে। দুর্ঘটনা যখন হয়, তখনই দিনের আলো কমে এসেছিল। দিনভর মেঘলা ছিল। বিকট শব্দে যখন দোমহনীর দাড়িভিজা এলাকায় ট্রেনের কামরাগুলি ছিটকে পড়ে, তখনও একটু আলো ছিল। অন্ধকারের মধ্যে মিশে যাচ্ছিলো আর্তনাদের শব্দ। এখন চলছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা।