চাকরি এবং পাওনা টাকার আশায় স্কুলে খোলার প্রথমদিনই বিক্ষোভের ডাক বিক্ষোভকারীদের
চাটাই করা হয়েছে প্রায় ১০০ এর ওপর টিচিং স্টাফ এবং নন টিচিং স্টাফদের

তিয়াসা মিত্র : কেউ শিক্ষকতা করছেন ত্রিশ বছর আবার কেউ দশ বছর তবে তাদের মধ্যে প্রায় সবাইকেই ২০২০তে হওয়া লক ডাউন এর সময়ে কোনো সঠিক কারণ দেখানো ছাড়াই হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়ে টার্মিনেশন লেটার। তার মধ্যে অনেকে পাইনি তাদের পাওনা টাকা। তারওপর কেড়ে নেওয়া হয়েছে চাকরি।
আজ মঙ্গলবার থেকে স্কুল খুলেছে রাজ্যে। প্রথম দিনেই জিডি বিড়লা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ শুরু করলেন শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীরা। প্রত্যেকের হাতে প্ল্যাকার্ড, ‘আমরা সুবিচার চাই।’ জিডি বিড়লা স্কুলের গেটের বাইরে প্রায় শতাধিক শিক্ষক ধর্নায় বসেছেন। এই স্কুলে এর একজন প্রাক্তন শিক্ষিকা বলে -” লকডাউন শুরু হওয়ার আগে স্কুল যখন বন্ধ হবে তখনই আমাদের হাতে নোটিস ধরানো হয়। রাতারাতি বরখাস্ত করা হয় কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে। স্কুল কর্তৃপক্ষের যুক্তি ছিল, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এখন বেতন দেওয়ার সমস্যা হবে। এই ভাবে বরখাস্ত করা তারপর পাওনা টাকা না দেওয়া আমরা খাবোকি চলবো কি ভাবে ? আমাদের বাড়িতেও সন্তান আছে তাদের খরচাপাতি চলবে কি ভাবে?” এই নিয়ে অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা নিজেদের প্রাপ্য টাকা এবং চাকরি ফেরানোর আসতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে।
অশোকা হল গ্রুপ অব স্কুলসের মধ্যে জিডি বিড়লা, মহাদেবী বিড়লা সহ অনেকগুলো স্কুল পড়ে। প্রতিটি স্কুল থেকেই শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মীদের ছাঁটাই করা হয়। ১০ জন বা ২০ জন নয় চাটাই করা হয়েছে প্রায় ১০০ এর ওপর টিচিং স্টাফ এবং নন টিচিং স্টাফদের। তাদের বক্তব্য তাদেরকাছে এক বছর ধরে নেই কোনো কাজ পর্যাপ্ত দৈনন্দিন জীবন চালানোর পুঁজি। তাই স্কুল খোলার প্রথম দিনই স্কুলের সামনে ধর্ণা দেয় সকল চাহাটি হওয়া শিক্ষক শিক্ষিকারা।