কোরোনার একঘেমিই কাটান ! ঘুরে আসুন সাজেক ভ্যালি
প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য সুখবর ,সুযোগ করে দেখে আসুন প্রকৃতির রানীকে

চৈতালি বর্মন : কোরোনার (Corona Vairus) কারণে নানা রকম বিধি নিষেধ মেনে ঘরে বসে বিরক্ত হচ্ছেন ? আর বিরক্ত না হয়ে ঘুরে আসুন এই শীতে সাজেক ভ্যালিতে(Sajek Valley)। প্রকৃতির রানী সাজেক ভ্যালি। শীতের মনোরম পরিবেশ উপভোগের জন্য প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক ছুটছেন দুর্গম এ পাহাড়ি অঞ্চলে। সাজেক ভ্যালীর সুউচ্চ কংলাকের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আশপাশের মেঘের ভেলায় ভেসে বেড়ানো পাহাড়ের ছবি আঁকছেন চিত্র শিল্পী কাওসার(KAWSAR)।সেনাবাহিনীর গড়ে তোলা উন্নত সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তায় পর্যটক আসা বাড়তে থাকায় জীবন-মানে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এখানে আসলে আবেগ ধরে রাখা কঠিন। সে প্রকৃতি প্রেমী হোক কিংবা নাই হোক। তাকে সাজেকের প্রেমে পড়তেই হবে।এক দশক আগে থেকে এখানে পর্যটকদের আসা শুরু হয়। সাজেক ভ্যালির অবস্থান রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় হলেও পর্যটকদের আসতে হয় খাগড়াছড়ি হয়ে। করোনা সংক্রমণের কারণে এবার সাজেক ভ্যালিতে পর্যটক আসা নিয়ে যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিলো তা অনেকটা কেটে গেছে। প্রতিদিনই শত শত পর্যটকবাহী গাড়ি ভিড় করছে এখানে।এ বিষয়ে কাওসার হোসাইন বলেন, আমরা যদি সাজেকের মত পর্যটন স্থানের দৃশ্য ছবির মাধ্যমে তুলে ধরি তাহলে বিশ্বের কাছে আমাদের সংস্কৃতি ও বাংলাদেশের সৌন্দর্য প্রকাশ পাবে।
করোনা সংক্রমণের কারণে এবার সাজেক ভ্যালিতে পর্যটক আসা নিয়ে যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছিলো তা অনেকটা কেটে গেছে। প্রতিদিনই শত শত পর্যটকবাহী গাড়ি ভিড় করছে এখানে।একজন বলেন, করোনার কারণে টানা একবছর বাসা ছিলাম। তবে এখন এখানে ঘুরতে এসে খুবই আনন্দিত। এখানে আঁকা-বাঁকা পাহাড়ি পথে যেমন সড়ক যোগাযোগ গড়ে তোলা হয়েছে, তেমনি পর্যটকদের’ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। আর এখানে এখন পর্যটকদের জন্য আবাসস্থল গড়ে তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই।খাগড়াছড়ি সদর থেকে দীঘিনালা-বাঘাইহাট হয়ে যাওয়া যায় সাজেক ভ্যালিতে। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য সকাল ১০টা এবং বিকাল ৩টায় বাঘাইহাট থেকে সাজেক ভ্যালী পর্যন্ত স্কর্টের ব্যবস্থা জারি রেখেছে সেনাবাহিনী।