ক্রমশই গভীরতা বাড়ছে ভোট পরবর্তী বিবাদের, কড়া হচ্ছে মার্কিন প্রশাসন
রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এবার বিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্য প্রান্তেও

পল্লবী কুন্ডু : আমেরিকার ভোট সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন হলেও, ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে। রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এবার সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্য প্রান্তেও। পরিস্থিতি সামাল দিতে নাকাল হতে হচ্ছে প্রশাসনকেও এখনও পর্যন্ত ২৪ জনেরও বেশি ‘দাঙ্গাকারী’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।বাইডেনের (Joe Biden) কাছে পরাজিত হওয়ার পরেও পরাজয় স্বীকার না করে নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে মার্কিন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকেই প্রশ্নের মুখে ফেলেছেন ট্রাম্প। উগ্র সমর্থকদের প্ররোচনা দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য ট্রাম্পকেই দায়ী করছেন বিশ্লেষকরা।
২০১৬ সালে রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ‘শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য’ ও ‘বর্ণবিদ্বেষে’র প্রভাব বেড়েছে দেশটিতে। বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যাকে কেন্দ্র করেই বর্তমান পরিস্থিতিতে যে সঙ্কট তা আরো জোরালো হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে, প্রেসিডেন্সিয়া নির্বাচনের পর জর্জিয়া, নেভাডা ও পেনসিলভেনিয়ার মতো রাজ্যগুলিতে রাস্তায় নেমে পড়েছেন হাজার হাজার ট্রাম্পপন্থীরা। ফলে বিবাদের গভীরতা ক্রমশ বাড়ছে।
পাশাপাশি ট্রাম্প এখনও নির্বাচনে জালিয়াতি করার অভিযোগে অনড় রয়েছেন। শনিবার ট্রাম্পের সমর্থনে ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ রাজধানী ওয়াশিংটন-সহ বিভিন্ন প্রদেশে মিছিল বার করে। হোয়াইট হাউসের দিকে মিছিল এগনোর সময় ট্রাম্প বিরোধীদের প্রতিরোধের মুখে পড়ে তারা। এরপরেই শুরু হয় হাতাহাতি। একে অপরকে লক্ষ্য করে লাঠিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাই দেশের ভোট পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে বেশ চিন্তায় বাইডেন প্রশাসন।