শুভেন্দু অধিকারীর পর তৃণমূলের বিদ্রোহীর তালিকায় এবার কার নাম ?
তৃণমূলে বিদ্রোহী সংখ্যা বাড়ায় ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদারও কি এবার যোগ দিচ্ছেন গেরুয়া শিবিরে ! জল্পনা তুঙ্গে

চৈতালি বর্মন : আরও এক তৃণমূল সাংসদ বেসুরো বাজতে শুরু করেছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সাক্ষাত্ নিয়ে যখন জল্পনা চলছে।প্রতিদিন তৃণমূলে বিদ্রোহীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই শুভেন্দু থেকে শুরু করে পর পর দলের অন্দরে এক এক করে বিদ্রোহী আর বিক্ষুব্দদের মিছিল যেন বেড়েই চলেছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) ঠারেঠোরে মঞ্চ থেকে বিদ্রোহীদের ১০ বছরের খাওয়া পরা নিয়ে কটাক্ষ করলেও লাভের লাভ মিলছে না। তৃণমূলের সমস্ত বাঁধনকে উপেক্ষা করেই দলে বিদ্রোহের আগুন এখন জ্বলতে আরম্ভ করে দিয়েছে। এবারে দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক হয়ে উঠলেন রাজ্যের এক সময়ের মন্ত্রী তথা বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মন্ডল(Sunil Kumar Mandal)।
দলে আজ এক নম্বর সৈনিকরাই বোমা ফাটাচ্ছেন। তিনি সাফ অভিযোগ তোলেন, দলের মধ্যে যারা তোলাবাজ, যারা বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে তারাই দলে ভালো পদ পাচ্ছেন। আর এই কারনেই তৃণমূলের প্রকৃত কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। সুনীল মন্ডল তৃণমূলের ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরকেও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বাংলার রাজনীতির সঙ্গে যার কোনও সম্পর্ক নেই তাকে দিয়ে কি দল চালানো যায়? যে পয়সা নিয়ে রাজনীতি করে সে কি এসব বুঝবে? ভাড়াটে সৈন্য দিয়ে যুদ্ধে জয় করা যায় না। তিনি সাফ জানান, সাংগাঠনিক শক্তি কোনও দলে মজবুত না হলে সে দল বেশীদিন টিকতে পারে না। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূলের উপর তিনি যে চূড়ান্ত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাতে তিনি কতোটা তৃণমূলে আর থাকবেন তা নিয়ে সন্দিহান রাজ্যের রাজনৈতিক মহল।ইতিমধ্যে তিনি শুভেন্দু অধিকারীর(Suvendu Adhikari) সঙ্গে সাক্ষাত করতে যাচ্ছেন বলেও খবর রটেছে।
এবার বিদ্রোহী ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল বিধায়ক দীপক হালদার(Dipak Haldar) । দলের মধ্যে কাজ করার পরিবেশ নেই, মানুষের উপরে কেউ নেই । এমনটাই বলেছেন দীপক হালদার। এদিকে ডায়মন্ড হারবারে পোস্টার ব্যানার পরেছে দীপক হালদারের নামে ।তৃণমূলে যেভাবে প্রতিদিন বিদ্রোহীদের সংখ্যা বাড়ছে এবং যেভাবে ক্ষোভের আগুন চড়ছে তাতে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সালের আগে যে বড়ো বিপদের মুখে রাজ্যের শাসক দলকে পড়তে হতে পারে এমন আশংকা করছেন বহু পোড় খাওয়া রাজনৈতিক বিশরদরাও।