ভারতের সর্বাধিক দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে ভারত থাকলেও, শীর্ষে উঠে এসেছে হাওড়ার নাম
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের-এর রিপোর্ট অনুসারে, তালিকার একেবারে শীর্ষে হাওড়া

পল্লবী কুন্ডু : শহরের বাতাসে ভাসমান ধূলিকণার পরিমাণ অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, ফলত ক্রমশই বাড়ছে বাতাসে দূষণের মাত্রা। আর এবার বাতাসের দূষণের দিকেই নজরপাত এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (Air Quality Index) এর রিপোর্ট অনুসারে, সর্বোচ্চ দূষিত শহরের তালিকায় কলকাতা তৃতীয় স্থানে থাকলেও। তালিকার একেবারে শীর্ষে উঠে এসেছে হাওড়া। রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, ভারতের সর্বাধিক দূষিত (Polluted) শহরগুলির তালিকার শীর্ষে হাওড়া (Howrah) এবং এই শহরের দূষণ দিল্লি এবং পাশ্ববর্তী অঞ্চলের অন্যান্য শহরগুলির তুলনায় অনেক বেশি।
ঠিক এরপরেই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত শহরের স্থান অধিকার করেছে রাজস্থানের ভিওয়াদি (Bhiwadi)। ভারতের প্রধান শহরগুলিতে বাাতাসের মান নিরীক্ষণ করতে একটি কালার কোডেড টুল ব্যবহার করা হয়। এর সাহায্যে রিয়েল-টাইম ভিত্তিতে বাতাসের মান বোঝা যায়।পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড তরফ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, হাওড়ার ঘুশুরিতে সকাল ৬টা নাগাদ বাতাসে ভাসমাণ ধুলিকণা (পার্টিকিউলেট ম্যাটার বা পিএম) ছিল প্রতি ঘনমিটারে ৮৫২ মাইক্রোগ্রাম এবং সকাল ১০টায় তা বেড়ে হয় প্রতি মিটারে ৯১৫ মাইক্রোগ্রাম। আদর্শগতভাবে প্রতি মিটার ঘনমিটারে ১০০ মাইক্রোগ্রামের বেশি ধুলিকণা থাকা উচিত নয়।
সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের এক কর্তা মত প্রকাশ করেন, ঘুশুরি একটি শিল্প অঞ্চল, ঘনবসতিপূর্ণ এবং ভারী যান চলাচল করে। আমরা পুলিশ ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে রাস্তায় জল ছেটাতে বলেছি যাতে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। পাশাপাশি তিনি আরো জানান, কলকাতার হটস্পটগুলিতে দূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মাঝে মাঝেই মিথেন গ্য়াসের কারণে আগুন লেগে যায়, সেই কারণে ডাম্পিং সাইটগুলিতে ফায়ার টেন্ডার মোতায়েন করা হয়েছে। পূর্ব কলকাতায় মারাত্মক দূষণের ফলে চামড়া ইউনিটগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যার ফলে কিছুটা হলেও দূষণের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।
এদিকে, কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের দৈনিক এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বুলেটিন অনুসারে, বুধবার বিকেল ৪টেয় হাওড়ার ২৪ ঘন্টায় গড় একিউআই মান ছিল ২৮৫, তার পরে রয়েছে ভিওয়াদি (২৬৭), কলকাতা (২৬৬) এবং দিল্লি (২১১)। একিউআই স্কেলে, ০-৫০ এর মানকে ভালো মানের বাতাস হিসাবে বিবেচনা করা হয়। ৫১-১০০ সন্তোষজনক, ১০১-২০০ মাঝারি, ২০১-৩০০ খারাপ, ৩০১-৪০০ খুবই খারাপ এবং ৪০১-৫০০ গুরুতর বিবেচনা করা হয়। ১ মে দেশব্যাপী লকডাউন চলার সময় কলকাতা এবং হাওড়া উভয় শহরের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স ৫০-র নীচে ছিল। শহর ধীরে ধীরে সচল হতেই ফের বাড়তে শুরু করেছে একিউআই-এর মান।