দু’বার না, শাস্ত্রমতে মহালয়ার ভোরেই কেবল বাজবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ
পুরানো রীতিকে অমান্য করা যায় না, সাফ জানাল আকাশবাণী কর্তৃপক্ষ
দেবশ্রী কয়াল : খারিজ হয়ে গেল পুরোহিতদের আবেদন। পূজার সাতদিন আগে, দ্বিতীয়বার আবার আকাশবাণীতে বাজবে না মহালয়ার চন্ডীপাঠ। শাস্ত্র মতে আগামী ১৭ই সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিনে একবারই বাজবে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠে সেই চিরাচরিত চন্ডী পাঠ। শুক্রবার বৈঠকের পর তাঁদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিল আকাশবাণী কলকাতা। যেহেতু এই বছর পূজার এক মাস আগেই মহালয়া, তাই পূজার সাতদিন আগে আর একবার দু’বার আকাশবাণী তাঁদের অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে কি না, তা নিয়ে যে একটা আবেদন জানানো হয়েছিল, তবে এবার তাতে পড়ল দাঁড়ি।
শাস্ত্রমতেই মহালয়ার ভোরেই বেজে উঠবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের চণ্ডীপাঠ। এই বছর মহিষাসুরমর্দিনী দ্বিতীয়বার সম্প্রচারের প্রসঙ্গে আকাশবাণী কলকাতার প্রোগ্রাম হেড সুব্রত মজুমদার বললেন, ‘না, তা সম্ভব নয়।’ তাঁর কথায়, ‘একটা নির্দিষ্ট রীতি মেনে, নিষ্ঠা নিয়ে মহিষাসুরমর্দিনী এর সম্প্রচার হয়ে আসছে প্রথম থেকে। এক সময় লাইভ হত। তবে পরে হয় রেকর্ড। আর সেই রীতি মেনেই এবারও মহালয়ার ভোরেই তার সম্প্রচার হবে। এর মর্যাদাই সম্পূর্ণ আলাদা। অন্য কোনও দিনের সঙ্গে এর সম্পর্ক নেই। তাই তাকে আর দ্বিতীয়বার এর জন্য শোনানো যায় না।’ পরে ২২ অক্টোবর অর্থাত্ ষষ্ঠীর দিন ভোর পাঁচটায় বাজবে উত্তমকুমারের কণ্ঠের ‘দেবীদুর্গতিহারিনী’।
সে এক সময় ছিল যখন বাণীকুমার, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জুগলবন্দি প্রতি বছর লাইভ সম্প্রচার করত মহিষাসুরমর্দিনী। ভোর চারটের অনেক আগেই শিল্পীরা আকাশবাণী পৌঁছে যেতেন। নির্ধারিত সময়ে শুরু হয়ে যেত লাইভ সম্প্রচার। কিন্তু একটা সময়ে এসে এই চণ্ডীপাঠের শিল্পীদের কণ্ঠ ধরে রাখার প্রয়োজন মনে করেন সকলেই। তারপর থেকেই শুরু হয় রেকর্ড। যা পরে কিনে নেয় এইচএমভি। সেটিই এখন অন্যান্য রেডিও স্টেশন সম্প্রচার করে। এর এবারেও চিরাচরিত ভাবে মহালয়ার দিনেই বেজে উঠযে সেই সুর।