পরিস্থিতির চাপে এবার সিদ্ধান্ত বদল আলিপুর চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষের
পুজোর আগে আনলক পর্বে চিড়িয়াখানা খুললেও জারি ছিল বেশ কিছু কঠিন বিধি-নিয়ম, তাতেই ক্ষুব্ধ একাধিক মানুষ

পল্লবী কুন্ডু : পরিস্থিতির চাপের মুখে পরে এবার সিদ্ধান্ত বদল আলিপুর চিড়িয়াখানার(Alipore Zoo) কর্তৃপক্ষের। পুজোর আগে আনলক পর্বে চিড়িয়াখানা খুললেও সেখানে জারি ছিল বেশ কিছু কঠিন বিধি-নিয়ম। যা শুনে একাধিক মানুষ ক্ষুব্ধ ছিল কর্তৃপক্ষের ওপরে। চিড়িয়াখানা খুলে দেওয়া মাত্রই ভিড় হয়েছিল ঠাসা কিন্তু সবার কোলেই ১০ বছরের নিচে শিশু থাকায় ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বারবার, করোনা কালে এই নতুন নিয়ম বিধি করা হলেও তা মানতে নারাজ ছিল সকলেই। আসলে চিড়িয়াখানায় যাওয়ার মূল কারণ-ই হলো ছোট শিশুদের আনন্দ প্রদান। আর যখন তাদের জন্যই তা বন্ধ তখন চিড়িয়াখানা খোলার কোনো মানেই হয় না, এমনই প্রশ্ন তোলেন অনেকেই।
এর পরেই পুজোর কয়েকদিন বন্ধ করে আবার খুলে দেওয়া হয় চিড়িয়াখানা আর তখনো বদল নেই আগের ছবির। এমনকি এখন লোকের সংখ্যা আরও বেশী। কিন্তু নিয়মের তো আর এখনই বদল ঘটে নি। কিন্তু কে শোনে কার কথা, এই কারণেই চিড়িয়াখানার গেটের সামনে অভিভাবকদের ভিড়, অনুরোধ, চোখ রাঙ্গানী সব কিছুই দেখতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে, কিন্তু দিন যাচ্ছে এই সমস্যা বেড়েই যাচ্ছে। মানুষ তাদের আত্মীয় স্বজন নিয়ে আসছে কিন্তু বাচ্চা থাকার কারণে তাদের ফিরে যেতে হচ্ছে গেটের বাইরে থেকেই। আর যার ফলেই ভিড় বাড়ছে ও বাকিরা ঢুকতে পাচ্ছে না ভেতরে। যার ফলে হচ্ছে হিতের বিপরীত।
গত রবিবার ভিড় হয়েছিল অনেক কিন্তু সেই নিয়মের কারণে ঝঞ্ঝাটের মুখে পরতে হয় চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষেদের, তাই এবার নতুন নিয়মে বলা হল চিড়িয়াখানায় ঢুকতে পারবে সবাই, কিন্তু কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। যার মধ্যে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, মাস্ক পরা, থার্মাল স্ক্রিনিং করা, জমায়েত না করা ও এনক্লোজারের সামনে পৌছাতে না দেওয়া এই সমস্ত কিছু রয়েছে। যখন কর্তৃপক্ষ সাধারণের ইচ্ছেতে সায় দিয়েছে তখন দর্শকদেরও উচিত সমস্ত নিয়ম অনুসরণ করেই চলা।