এখনই নয় শীতের আগমন, অপেক্ষা করতে হবে জগদ্ধাত্রী পূজা অবধি
বেলা বাড়ার সাথে বাড়বে অস্বস্তি, রাতের পরে খানিক শীতের আমেজ

দেবশ্রী কয়াল : ধীরে ধীরে কমছিল শহরের তাপমাত্রা, ফ্যান এর সঙ্গ ছেড়ে কম্বলকে নিজের সঙ্গী বানাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলেন দক্ষিণ বঙ্গবাসী। কিন্তু তাতে পড়েছে বাঁধা। এখনই হবে না শীতের (Winter) আগমন, অপেক্ষা করতে হবে এখন জগদ্ধাত্রী পূজা পর্যন্ত। তুষার ছোঁয়া হাওয়া আর শীত বৃষ্টির রেশে জগদ্ধাত্রী পুজো মিটলেই বাংলার বুকে ঠান্ডার আমেজ এক ধাক্কায় বাড়তে চলেছে।
তবে তার আগে পর্যন্ত বাংলায় আবহাওয়া মোটামুটি স্বাভাবিকই থাকবে। বেলায় রোদের তেজ বাড়লে তার সাথেই বাড়বে অস্বস্তি আর সূর্যাস্তের পরেই হালকা হালকা ঠান্ডার আমেজ পাবেন বঙ্গবাসী। ভোরের দিকে খানিক শীতের আমেজ অনুভব করতে পারবেন বঙ্গবাসী। আগামী কয়েকদিন এখন এমন আবহাওয়ার সাথে নিতে হবে মানিয়ে। তবে উত্তরবঙ্গে পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে। দক্ষিণবঙ্গের মানুষ যখন গরমে অস্বস্তিতে কাটাচ্ছেন তখন অপরদিকে উত্তরবঙ্গের মানুষ কাঁপছে ঠান্ডাতে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Alipur Metrological Department) এদিন জানিয়েছে, কলকাতার বুকে সপ্তাহ দেড়েক তাপমাত্রা সামান্য কমলেও জাঁকিয়ে শীত এখনই পড়ছে না। বরং বেলা বাড়লে অস্বস্তি আরও বাড়তে থাকবে। হাল্কা শীতের আমেজ থাকবে রাত ও ভোরের দিকে। আপাতত চার পাঁচ দিন কুড়ি ডিগ্রির আশেপাশেই তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করবে। কলকাতায় (Kolkata) বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ রয়েছে ৯১ শতাংশের মতো। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ বেশি থাকায় দুপুরের দিকে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও থাকবে। আগামী দু’ তিন দিনের মধ্যে তিন থেকে চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতে। তবে বৃহস্পতি, শুক্র এবং রবিবার পর পর পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকবে। এর ফলে জম্মু কাশ্মীর, লাদাখ ও হিমাচল প্রদেশে ভারী বৃষ্টি ও তুষারপাতের সম্ভাবনা থাকছে। এই তুষারপাতের ফলে শীতল হাওয়া বাংলায় এলে তাপমাত্রা কিছুটা কমার সম্ভাবনা রয়েছে।