কমলালেবুর অধিক ফলনে আবেগে ভাসলো আলিপুরদুয়ার
বক্সা পাহাড়ের সুস্বাদু কমলা ,নামতে চলেছে সমতলে

চৈতালি বর্মন : শীতকালের সবার খুব পছন্দের একটি ফল হল কমলালেবু (Lemon orange)। যার মিষ্টি সাধ আর কিছুতে পাওয়া যায় না। প্রায় ২৭ বছর পর আবার রেকর্ড ভাঙলো আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) বক্সা পাহাড়ে(Buxa Tiger Reserve)র ফলিত কমলালেবু। আলিপুরদুয়ারের মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বক্সা পাহাড়ের কমলালেবু ইতিমধ্যেই নামতে শুরু করেছে সমতলে। হাসি ফুটলো চাষীদের মুখে।
১৯৯৩ সালের বন্যার পরেই বদলে যায় পরিস্থিতি। হিমালয়ের সিঞ্চুলা রেঞ্জের বক্সা পাহাড়ে ভূমিক্ষয় হয়। ওই সময় লক্ষাধিক কমলালেবুর গাছ নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বন্যায় পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল মাটির চরিত্রও। সেই থেকে বক্সার কমলালেবু গাছে ও ফলে ল্যাদা ও জাবপোকার হানাদারি শুরু হয়। মার খায় ফলন। উদ্যান পালন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বক্সা পাহাড়ে এখন মোটামুটি ৩৯ হেক্টর জমিতে কমলালেবু চাষ হয়েছে। তবে পোকার উপদ্রবে ১৩টি পাহাড়ি গ্রামে কমলার আশানুরূপ ফলন হয়নি।
উদ্যানপালন দফতরের জেলা আধিকারিক সন্দীপ মহন্ত বলেন, ”কমলালেবুর গাছ ও ফলের প্রধান শত্রু হল জাব ও ল্যাদাপোকা। ল্যাদাপোকার হানায় কমলার গাছ এবং জাবপোকার হানায় ফল নষ্ট হয়ে যায়। এই পোকা তাড়াতে দফতর থেকে কমলালেবু চাষিদের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজে সহায়তা করা হচ্ছে।” তারই ফল মিলতে শুরু করেছে ২৭ বছর পর। সদরবাজার, লালবাংলো, ডারাগাঁও, চুনাভাটি, আদমা, তাসিগাঁও, লেপচাখা, ওচলুং সহ বক্সার ১৩টি গ্রাম থেকে কমলালেবু সমতলে আসতে শুরু করেছে। জেলা সদর ছাড়াও গ্রামাঞ্চলের হাটে বাজারে বক্সার কমলা বিক্রি হচ্ছে দেদার।চাষীরা বলছেন খুব ভালোই বিক্রি হচ্ছে। ছোট কমলা ৫টাকা আর বড়ো কমলা ১০টাকা।