কেন্দ্রীয় সরকার পালন করছে না দায়িত্ব, প্রতিষ্ঠাতা দিবসে ব্ল্যাক ডে পালন বিএসএনএল এর
মানতে হবে টেলিকম সংস্থার দাবি, নাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে বাধ্য হয়ে

দেবশ্রী কয়াল : যে কোনো প্রতিষ্ঠানের, প্রতিষ্ঠা দিবস খুবই সুখের ও আনন্দের দিন। তবে এই বছর ২০ তম প্রতিষ্ঠাতা দিবস ব্ল্যাক ডে হয়ে রইল বিএসএনএল এর জন্য। তা সম্পূর্ণভাবে হতে চলেছে বেসরকারিকরণ। এই মুহূর্তে বিএসএনএল এর কাছে রয়েছে মাত্র ১০ শতাংশ। বিগত দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানিয়ে যাচ্ছে বেশ কয়েকটা আবেদন। কিন্তু তাঁদের অভিযোগ কোনোভাবেই তাঁদের সেই সকল দাবি মানা হচ্ছে না। তাই এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে নিজেদের প্রতিষ্ঠা দিবসকেই তারা বেছে নেন কালো দিবস পালন করার জন্যে।
এই নিয়ে, অল ইউনিয়নস অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েশানস অফ বিএসএনএল এর রাজ্য সেক্রেটারি অনিমেষ মিত্রের সাথে কথা বললে তিনি জানান, ” বিএসএনএল এর এই মুহূর্তে সারা দেশে ১২ কোটি গ্রাহক। কিন্তু তাদের ৪জি সেক্টাম দিতে আজ আমরা ব্যর্থ। গ্রাহকরা ৪জি চাইছেন, কিন্তু আমরা তা পারছি না। কারন কেন্দ্রীয় সরকার আমাদেরকে টেন্ডার দিচ্ছে না। যেখানে আদতে এই দায়িত্ব কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের। আজ কেন্দ্রীয় সরকার এই ৪জি এর টেন্ডার সকল বেসরকারি টেলিকমকে দিচ্ছে কিন্তু সরকারি টেলিকম হয় সত্বেও বিএসএনএল কেই এই সুযোগ দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। বরং বলা ভালো নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে তারা। “

এরপরে অনিমেষ বাবু আরও বলেন, ” গত বছরেই এই অক্টোবর মাসেই পার্লামেন্টে এক মন্ত্রী বলেছিলেন আমরা খুব শীঘ্রহি বিএসএনএল এর জন্যে কিছু রিলায়েবল প্যাকেজ রূপায়ন করতে চলেছি। বেশ কিছু লোনের কথাও ছিল। কিন্তু সেই কোনো কথাই রাখা হয়না। আমরা এখন আরও নিজেদের পরিধি বৃস্তিতি করতে চাইছি, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে নিজের দায়িত্ব এড়িয়ে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে সেক্ষেত্রে তা ক্রমশ মুশকিল হয়ে উঠছে। একসময় তারা বলেছিল, সংস্থাতে নাকি লোক বেশি, সেক্ষেত্রে তো বলতে হবে বহু কর্মীই ছাঁটাই হয়েছে। কিন্তু তাও সাহায্য করছে না কেন্দ্র। “
অনিমেষ বাবুর বক্তব্য, তাঁরা কেউই আজ সুখে নেই। তাই শুভ দিনে আজ তাঁরা ব্ল্যাক ডে পালন করতে বাধ্য হচ্ছে। এই মুহূর্তে তাঁদের মাত্র দুটো দাবি, ৪জি টেন্ডার তাদেরকে দেওয়া হোক এবং যে প্যাকেজ গুলি পার্লামেন্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল সেগুলি যেন করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই তারা এই পথ অবলম্বন করতে বাধ্য হচ্ছে। আজ সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলবে ব্ল্যাক ডে পালন। তবে আগামী দিনেও যদি তাঁদের দাবি না শোনা হয় তাহলে পূজার পর বড় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন তাঁরা।