এলাহাবাদ হাইকোর্টেই হবে হাথরসের মামলার বিচার, নজর রাখা হবে সিবিআই তদন্তের উপর
কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের, সুরক্ষার এবং নিরপেক্ষ তদন্তের উপর দিতে বলেছে বিশেষ নজর

দেবশ্রী কয়াল : এখনও শাস্তি হয়নি হাথরস কাণ্ডের দোষীদের। চলছে আইনি মামলার জের। তবে জানা যাচ্ছে এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টের(Allahabad High Court) তত্ত্বাবধানেই চলবে উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলা। আজ মঙ্গলবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্ট(Supreme Court)। সিবিআই(CBI) হাইকোর্টকে তদন্তের প্রতিটা বিষয়ের গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে জানাবে।
উত্তরপ্রদেশ থেকে হাথরাস(Hathras) মামলা স্থানান্তরের আবেদনের প্রেক্ষিতে এদিন সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সিবিআই তদন্ত শেষের পরই মামলাটি স্থানান্তরিত হবে কি না তার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এলাবাবাদ হাইকোর্টকে এই মামলার প্রতিটি বিষয়ে নজর রাখতে ও সাক্ষীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে প্রধান বিচারপতি বোবদের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ। যাতে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা বা সমস্যার সৃষ্টি না হয় সেই দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার জন্যে বলা হয়েছে।
অতএব,সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে কেন্দ্রীয় সংস্থার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত উত্তরপ্রদেশের বাইরে হাথরাস মামলা সরছে না। একটি জনস্বার্থ মামলা ছাড়াও সমাজকর্মী এবং আইনজীবীদের দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত। আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, যেহেতু এই ঘটনার তদন্তকে প্রভাবিত করার চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে, তাই উত্তরপ্রদেশে এই মামলার নিরপেক্ষ তদন্ত সম্ভব নয়। গত ১৫ অগাস্ট এই বিষয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছিল আদালত।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর হাতরসের গ্রামে ১৯ বছর বয়সি এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ এবং নির্মম অত্যাচার করে উচ্চবর্ণের চার যুবক। গত ২৯শে সেপ্টেম্বর দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাতের অন্ধকারে রীতিমত লুকিয়ে তড়িঘড়ি করে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় আগাগোড়াই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ, প্রশাসনের বিরুদ্ধে হুমকি এবং অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছে নির্যাতিতার পরিবার। এই হাথরসের মামলা এখনও মানুষের মনের মধ্যে জীবিত রয়েছে। সবার একটাই দাবি অবিলম্বে শাস্তি দেওয়া হোক অভিযুক্তদের।