আপনারা সুরক্ষিত, কিন্তু যে মানুষগুলো আপনার সুরক্ষার পথ প্রশস্ত করছে তারা সুরক্ষিত তো ?
গত মার্চ থেকে অ্যামাজন-এর কর্মীদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি কর্মচারী।

পল্লবী কুন্ডু : চলতি পরিস্থিতিতে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে শহরের মানুষ খুব বেশিই হয়ে পড়েছেন অনলাইন নির্ভর।উৎসবের মাসে একের পর এক পার্সেল আসছে ঘরে। এর ফলে তারা সুরক্ষিত থাকলেও বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে কুরিয়ার সার্ভিসম্যানদের। ঠিক এরকমই একটি অনলাইন সংস্থা হলো অ্যামাজন। যাকে এক কথায় ই-কমার্স জায়ান্ট বলা হয় আর সেখানে এই মুহূর্তে সামনের সারিতে থেকে কাজ করছে ১৩ লক্ষ ৭০ হাজার জন কর্মচারী।তবে সে বিষয়টি শুনলে আপনিও আঁতকে উঠবেন তা হলো, গত মার্চ থেকে তাঁদের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৮০০ জনেরও বেশি কর্মচারী।
সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে অ্যামাজনের দাবি, তাদের কর্মীদের মধ্যে করোনায় সংক্রামিত হওয়ার হার কম।তবে অ্যামাজনের লজিস্টিক সেন্টারের কয়েকজন কর্মী সম্প্রতি অভিযোগ তোলেন, কোম্পানি তাঁদের অতিমহামারীর হাত থেকে রক্ষা করতে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি। তার জবাবে সিয়াটলের সদর দফতর থেকে অ্যামাজন জানায়, তাদের ৬৫০ টি অফিসে রোজ ৫০ হাজার জনের টেস্ট হচ্ছে। অ্যামাজন বিবৃতি দিয়ে বলেছে, ‘কোভিড সংকট শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা নিয়মিত কর্মীদের জানিয়েছি, কতজন আক্রান্ত হয়েছেন।’
পাশাপাশি উৎসবের মরশুমে বিশাল সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করছে অ্যামাজন ইন্ডিয়া। প্রতিবারই পুজো, দেওয়ালি থেকে যে উত্সবের মরশুম শুরু হয় তা চলে ক্রিসমাস থেকে নিউ ইয়ার ইভ পর্যন্ত। তবে এবার অনেক বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করছে অ্যামাজন। মূলত জিনিস ডেলিভারির ক্ষেত্রেই বেশির ভাগ কর্মী নিয়োগ করবে। তা ছাড়াও তাদের ট্র্যাকিং পার্টনার, প্যাকেজিং ভেন্ডর, ‘আই হ্যাভ স্পেস’ ডেলিভারি পার্টনার, অ্যামাজন ফ্লেক্স পার্টনার, হাউসকিপিং এজেন্সির ক্ষেত্রেও লোক নিয়োগ করবে বলে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে। কিন্তু এত সংখ্যক কর্মী নিয়োগ করলেও কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে তাদের সুরক্ষা প্রদানের বিষয়টি নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠছে।