বড়ো ব্যাবধানে জয় ! দেব ভূমিতে সরকার গড়ছে বিজেপি সরকার
২০১৭ সালে উত্তরাখণ্ডে ভোটে জিতেছিল বিজেপি। ৭০টি আসনের ৫৭টিই ছিল তাদের দখলে
তিয়াসা মিত্র : বুথ ফেরত সমীক্ষা সহ সব হিসাব মিথ্যে করে উত্তরাখণ্ডের আকাশে আজ গেরুয়া আবির। উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফল নিয়ে দু’টি সম্ভাবনার কথা ভেবে নেওয়া হয়েছিল— এক, কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাচ্ছে না। ফলে উত্তরের এই রাজ্য ত্রিশঙ্কু ফলাফল হতে চলেছে। ক্ষমতার দখল নিতে সেয়ানে সেয়ানে টক্কর হবে দুই প্রধান দল কংগ্রেস এবং বিজেপির। দুই, পাঁচ বছর অন্তর ক্ষমতাবদলের ‘ট্রেন্ড’ বা ধারা মেনে এ বার ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে কংগ্রেস।
উত্তরাখণ্ড বিধানসভায় মোট আসন ৭০টি। একা সরকার গড়তে হলে ৩৬টি আসন নিশ্চিত করতে হত জয়ী রাজনৈতিক দলকে। ৩৬ হল উত্তরাখণ্ডে সরকার গঠনের ‘জাদু সংখ্যা’। যদিও বুথফেরত সমীক্ষা বলেছিল, এ যাত্রায় সেই সংখ্যা কোনও দলই ছুঁতে পারবে না। বাস্তবে সেই ভবিষ্যদ্বাণী মেলেনি। ২০১৭ সালে উত্তরাখণ্ডে ভোটে জিতেছিল বিজেপি। ৭০টি আসনের ৫৭টিই ছিল তাদের দখলে। কংগ্রেসের ১১টি। আগের বারের থেকে ভোট কমলেও দুপুরের মধ্যেই বিজেপি ৪৫টিরও বেশি আসন নিশ্চিত করে ফেলেছে দেবভূমিতে। ভোট এবং আসন বাড়িয়েও শেষ পর্যন্ত কিছু করতে পারেনি কংগ্রেস। উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় থাকাকালীন গত পাঁচবছরে বার বার দলীয় অন্তর্কলহের জেরে মুখ্যমন্ত্রী বদলাতে হয়েছে বিজেপি-কে। যে দল পাঁচ বছরের শাসনকালে তিন-তিনবার মুখ্যমন্ত্রী বদলায়, তার উপর সাধারণ মানুষের ভরসা না-থাকলে তাঁদের দোষ দেওয়া যায় না।
সম্ভবত সেই আশঙ্কা থেকেই উত্তরাখণ্ড নিয়ে বাড়তি পদক্ষেপ করেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। দেবভূমিতে প্রচারে গিয়ে মোদী টেনে এনেছিলেন সার্জিকাল স্ট্রাইক এবং গালোয়ানের যুদ্ধ প্রসঙ্গ। এমনকি, ফৌজি আবেগ উস্কে দিতে উত্তরাখণ্ডের ভূমিপুত্র জেনারেল বিপিন রাওয়াতের বিমান দুর্ঘটনার কথা মনে করিয়ে দিতেও ভোলেননি। প্রচারে সরাসরি আক্রমণে গিয়ে মোদী বলেছিলেন, ‘‘যে কংগ্রেস রাওয়াতকে রাস্তার গুণ্ডা বলেছিল, তাদের একটাও ভোট দেবেন না।’’