কোরোনার মধ্যে আরো এক অজানা রোগের আতঙ্ক ভারতে
জাইগোমাইকোসিস নাম পরিবর্তন করে মিউকরমাইকোসিস নামে সৃষ্টি হয়েছে এই নতুন রোগ, যার কবলে পরে মৃত্যু হয়েছে ৯জনের

চৈতালি বর্মন : করোনার বিরুদ্ধে লড়ছে সারা দেশ। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। এরই মধ্যে আবার নতুন অজানা রোগের উপদ্রব! যার নাম মিউকরমাইকোসিস। দিল্লি এবং মুম্বইয়ের পর আহমেদাবাদেও মিউকরমাইকোসিস রোগে আক্রান্ত ৪৪ জন। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ৯ জনের। এখনও মানুষ করোনার ভ্যাকসিন পাননি, তার মধ্যে আবার নতুন এই রোগ চিন্তা বাড়াচ্ছে দেশবাসীর। এর আগে এই রোগের নাম ছিল জাইগোমাইকোসিস(zygomycosis)।
তবে এই মিউকরমাইকোসিস(Mucormycosis) কোনো নতুন রোগ নয়। আগে এটি জাইগোমাইকোসিস(zygomycosis) নামে পরিচিত ছিল। মিউকরমাইসিটস নামের ছত্রাক থেকে এই রোগ ছড়ায়। মূলত নাক ও চোখের মাধ্যমেই সংক্রমণ শরীরে প্রবেশ করে। শুরুতেই ধরা পড়লে এর চিকিত্সা সম্ভব। তবে অবহেলা করলে এই রোগ প্রাণঘাতী আকার ধারণ করে।চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, মিউকরমাইকোসিসে সংক্রমিত হলে চোখের চারপাশের পেশি অসাড় হয়ে যায়। যে কারণে দৃষ্টিশক্তি হারান অনেকে। সংক্রমণ মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়লে রোগীদের মেনিনজাইটিসও হতে পারে।সাধারণত রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম, নানারকম ওষুধ খাওয়ার ফলে যে সমস্ত অসুস্থ রোগীর শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, তাদের মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। তাই সদ্য কোভিড-১৯ থেকে সেরে উঠেছেন যারা, তাদের মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
গুজরাটের আহমেদাবাদে যে সমস্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে, তারা সবাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং সম্প্রতি করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। আচমকা নাক ফুলে ব্যথা হলে এবং চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করলে, অবিলম্বে চিকিত্সকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত বলে মত বিশেষজ্ঞদের।কয়েকদিন আগেও দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে মিউকরমাইকোসিসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১২। মুম্বাইয়েও একাধিক রোগীর সন্ধান মিলেছে। আহমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালেই ৪৪ জন রোগী পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৯ জনের মৃত্যুও হয়েছে ইতোমধ্যেই।